নওগাঁ নিয়ামতপুর উপজেলা প্রতিনিধি।
আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে মান ক্ষুন্ন করার জন্য একটি স্বার্থানেষী মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কবরস্থানের জায়গা দখলের জন্য মিথ্যে মানববন্ধন করে। এতে আমি মারাত্মকভাবে মানুষিক আহত হয়েছি। আমি এই ইউনিয়নের পাঁচ পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমি ও আমার পরিবার স্কুল-কলেজের জন্য জায়গা জমি দান করি। আমরা সামান্য করবস্থানের জায়গা জোর করে দখল করবো এটা কখনও হতে পারে।
বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদির প্ররোচনায় ইউপি সদস্য দুলাল হোসেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মিথ্যে সরকারী ঘর দিবে মন্ত্রী এসেছে বলে নিয়ামতপুর উপজেলা সদরে নিয়ে গিয়ে তাদের না জানিয়ে মানববন্ধন করে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শনিবার ১৮ সেপ্টেম্বর বেলঅ সাড়ে ৪টায় চন্দননগর কলেজ মাঠে মিথ্যে মানববন্ধন করার জন্য আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে চন্দননগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান তোতা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন চন্দননগর দরগা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শ্রী জসাই তিনি বলেন তোতা চেয়ারম্যান আমাদের জমি দখল করেননি এবং কবর দিতে বাঁধা প্রদান করেনি। চন্দননগর গুচ্ছ গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের শ্রী লক্ষণ পাহান বলেন তোতা চেয়ারম্যান আমাদের সবসময় সুখে দুঃখে পাশে থাকেন আমাদের কবর দিতে তিনি বাঁধা প্রদান করেনি এবং সেই জায়গা ও দখল করেনি। দুলাল মেম্বার মিথ্যা প্ররোচনা দিয়ে আমাদের নিয়ামতপুর নিয়ে যায় তিনি আমাদের বলেন মন্ত্রী আসছে তোমাদের বাড়ি দিবে কিন্তু আমরা গিয়ে দেখি পুরোটাই উল্টা।
চন্দননগর গ্রামে বাসিন্দা আলহাজ্ব মোঃ আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন চন্দননগর ইউপির সাবেক সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ইফাজ উদ্দিন।
শত শত ইউনিয়ন বাসীর উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাদ মালাহার গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব মকবুল হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব তৌফিকুর রহমান সুরুজ, বিষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব মাবুদ বক্স, ছাতড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল মালেক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তাইজ উদ্দিন বিশু, চন্দননগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ছতিশ চন্দ্র বর্মন, আলহাজ্ব আজিজার রহমান, চন্দননগর কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, চন্দননগর ইউপির সাবেক সদস্য আব্দুল আজিজ আনসারী, বিষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা নূরুল ইসলাম, চন্দননগর ইউপির সাবেক সদস্য ও জাতীয় আদিবাসী ফোরামের সদস্য কারমা খালকো, নিবোদা গ্রামের বাসিন্দা বিনয় মুর্মু, জাতীয় আদিবাসী ফোরামের সদস্য শ্রী বিজয়, কোদালিশহর গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল চন্দ্র বর্মন প্রমুখ।
Leave a Reply