১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

দেশীয় যন্ত্রাংশ দিয়ে মিনি বাস তৈরি করে মিনুর চমক।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মো নাহিদ হাসান নিয়ামতপুর (নওগাঁ) সংবাদদাতা :

 

পুঁথিগত বিদ্যায় পিছিয়ে থাকলেও নতুন নতুন যন্ত্র আবিষ্কারের নেশায় থাকেন মিজানুর রহমান মিনু। পরিবারের অভাব অনটনের জন্য তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেননি। তবুও ইঞ্জিন চালিত চার চাকার মিনিবাস তৈরি করে চমক দিয়েছেন উদ্ভাবনী শক্তির জগতে। মিজানুর রহমান মিনুর আবিষ্কৃত বাসে ১৫ থকে ২০ জন যাত্রী বসতে পারবেন।

 

নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের পাইকড়া গ্রামের আইয়ূব উদ্দীনের ছেলে মিজানুর রহমান মিনু। পড়াশুনার থেকে বেশি মনযোগ ছিল পরিত্যক্ত জিনিস দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করার। স্বপ্ন দেখছেন, গাড়িটি দেশে এবং বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের। এ ব্যাপারে সরকারের সহায়তা চান তিনি।

 

 

জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই নতুন কোন কিছু উদ্ভাবন করে সবাইকে চমক লাগিয়ে দিতেন মিনু। মিনিবাসের সিট ও স্টিয়ারিং দিয়ে দেশি প্রযুক্তিতে দেশি যন্ত্রপাতিতে তৈরি করেছেন বাসটি। বাসটি তৈরি করে পরীক্ষামূলকভাবে চালাচ্ছেন তিনি। সব মিলিয়ে বাসটি তৈরি করতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ পড়বে। মিনুর প্রযুক্তিতে তৈরি বাসটি ১ লিটার জ্বালানিতে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে ৩০/৩৫ কিলোমিটার চলাচলে সক্ষম।

 

মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ছোটবেলা থেকে নতুন কিছু উদ্ভাবন করার চেষ্টায় থাকতাম। এসব নিয়ে সারাক্ষণ ভাবতাম। নিজের একটা ছোট ওয়ার্কশপের দোকান আছে। আমার নতুন ইঞ্জিন চালিত চার চাকার গাড়ি দেখতে অনেকে আসছে। মিনি বাসটির কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।

 

তিনি আরও বলেন, অনেকে টাকার অভাবে বড় বাস কিনতে পারে না। তার যেন অল্প টাকায় সেই বাসটি কেনার শখ পূরণ করতে পারে সেজন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। এটি খুবই সাশ্রয়ী। চার চাকায় ব্রেক আছে। এতে ১৫/২০ জন যাত্রী বহন করতে পারবে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমার কাজ সহজ, দ্রুত এবং সুন্দর হবে।

 

তিনি দাবি করেন, সরকার যদি এগিয়ে আসে তাহলে দেশেই গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। সরকার এগিয়ে আসলে এটা বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব। বর্তমান সরকারের আমলে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এখন সাইকেল এবং ভ্যানে পর্যন্ত ইঞ্জিন লাগানো হচ্ছে। তার বিষয়টি দেখে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।