মো নাহিদ হাসান নিয়ামতপুর (নওগাঁ) সংবাদদাতা :
পুঁথিগত বিদ্যায় পিছিয়ে থাকলেও নতুন নতুন যন্ত্র আবিষ্কারের নেশায় থাকেন মিজানুর রহমান মিনু। পরিবারের অভাব অনটনের জন্য তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেননি। তবুও ইঞ্জিন চালিত চার চাকার মিনিবাস তৈরি করে চমক দিয়েছেন উদ্ভাবনী শক্তির জগতে। মিজানুর রহমান মিনুর আবিষ্কৃত বাসে ১৫ থকে ২০ জন যাত্রী বসতে পারবেন।
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের পাইকড়া গ্রামের আইয়ূব উদ্দীনের ছেলে মিজানুর রহমান মিনু। পড়াশুনার থেকে বেশি মনযোগ ছিল পরিত্যক্ত জিনিস দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করার। স্বপ্ন দেখছেন, গাড়িটি দেশে এবং বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের। এ ব্যাপারে সরকারের সহায়তা চান তিনি।
জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই নতুন কোন কিছু উদ্ভাবন করে সবাইকে চমক লাগিয়ে দিতেন মিনু। মিনিবাসের সিট ও স্টিয়ারিং দিয়ে দেশি প্রযুক্তিতে দেশি যন্ত্রপাতিতে তৈরি করেছেন বাসটি। বাসটি তৈরি করে পরীক্ষামূলকভাবে চালাচ্ছেন তিনি। সব মিলিয়ে বাসটি তৈরি করতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ পড়বে। মিনুর প্রযুক্তিতে তৈরি বাসটি ১ লিটার জ্বালানিতে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে ৩০/৩৫ কিলোমিটার চলাচলে সক্ষম।
মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ছোটবেলা থেকে নতুন কিছু উদ্ভাবন করার চেষ্টায় থাকতাম। এসব নিয়ে সারাক্ষণ ভাবতাম। নিজের একটা ছোট ওয়ার্কশপের দোকান আছে। আমার নতুন ইঞ্জিন চালিত চার চাকার গাড়ি দেখতে অনেকে আসছে। মিনি বাসটির কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।
তিনি আরও বলেন, অনেকে টাকার অভাবে বড় বাস কিনতে পারে না। তার যেন অল্প টাকায় সেই বাসটি কেনার শখ পূরণ করতে পারে সেজন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। এটি খুবই সাশ্রয়ী। চার চাকায় ব্রেক আছে। এতে ১৫/২০ জন যাত্রী বহন করতে পারবে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমার কাজ সহজ, দ্রুত এবং সুন্দর হবে।
তিনি দাবি করেন, সরকার যদি এগিয়ে আসে তাহলে দেশেই গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। সরকার এগিয়ে আসলে এটা বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব। বর্তমান সরকারের আমলে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এখন সাইকেল এবং ভ্যানে পর্যন্ত ইঞ্জিন লাগানো হচ্ছে। তার বিষয়টি দেখে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
Leave a Reply