এম এ রশীদ বিশেষ প্রতিনিধি শঃ
যাত্রীচাপ ও প্রবাসীদের সুবিধার্থে ঢাকা-দুবাই রুটে নিয়মিতের পাশাপাশি আগামী ১১ ও ১২ জানুয়ারি দুটি অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। রোববার (৯ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটা থেকে ওই ফ্লাইটগুলোর টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে বলে বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, ‘যাত্রীদের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে এবং প্রবাসীদের সুবিধার্থে’ এ দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। দুই দিনই ফ্লাইট বিজি ৪০৪৭ সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে দুবাই পৌঁছাবে সেখানকার সময় বিকাল সাড়ে ৩টায়।
মহামারীর মধ্যে দুবাইয়ের ভ্রমণবিধি অনুযায়ী কোভিড টেস্ট ও অন্য সকল কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করতে যাত্রীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ফ্লাইট ছাড়ার আট ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ওই দুটি ফ্লাইটের ইকোনমি ক্লাসের একমুখী যাত্রায় প্রতি টিকেটের সর্বোচ্চ মূল্য (ট্যাক্সসহ) ৬৫ হাজার ৩২৯ টাকা এবং বিজনেস ক্লাসের ট্যাক্সসহ সর্বনিম্ন মূল্য ৮৬ হাজার ৫৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিমানের যে কোনো সেলস অফিস, বলাকায় প্রধান কার্যালয়ের সেলস সেন্টার ও বিমান কল সেন্টার- ০১৯৯০৯৯৭৯৯৭ এর মাধ্যমে টিকিট কেনা যাবে। এ ছাড়া অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকেট কিনতে পারবেন যাত্রীরা।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারলাইনসগুলো সিন্ডিকেট করে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ-তিনগুণ। বাড়তি দামেও মিলছে না এয়ারটিকিট। ফলে অনিশ্চয়তা এবং ভোগন্তির মধ্যে পড়েছেন সিলেট বিভাগের অন্তত ২০ হাজার প্রবাসী। তারা মধ্যপ্রাচ্যে যেতে পারছেন না। এই দুরবস্থায় বিমানের বাড়তি দুটি ফ্লাইটের খবরে সিলেটে আটকা পড়া মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।
জানা গেছে, দুবাই ও আবুধাবি রুটে আগে ভাড়া ছিল প্রায় ৪০ হাজার টাকা। বর্তমানে এয়ারলাইনসগুলো ভাড়া বাড়িয়ে ৮৭ হাজার টাকা করেছে। মাস্কাট রুটের ভাড়া ৩৫ হাজার টাকা থেকে ৭২ হাজার টাকা এবং সৌদি আরবের ভাড়া ৪২ হাজার টাকা থেকে ৭৫ হাজার টাকা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়া, বুস্টার ডোজ ছাড়া ফেব্রুয়ারি থেকে সৌদি আরবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, ভিসা অনুমোদন বৃদ্ধিসহ কয়েকটি কারণে সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য রুটে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। ফের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই আগেভাগে ফিরতে চাচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যে। আর এই সুযোগে মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ারলাইনসগুলো ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ারলাইনসগুলো সিন্ডিকেট করে যাত্রীদের জিম্মি করে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। চাহিদার তুলনায় ফ্লাইট কম থাকায় এয়ারলাইনসগুলো ভাড়া বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
Leave a Reply