১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

দীর্ঘ দিন পরে শ্রেণীকক্ষে ফিরলো শিক্ষার্থীরা, স্বাস্থবিধি মেনে পাঠদান।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নাজমুল হক সনি , সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

প্রায় দেড় বছর বন্ধের পর খুললো নওগাঁর সাপাহার উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সারাদেশে আজ রোববার খুলে দেওয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

 

শ্রেণীকক্ষে ফেরা শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় শিক্ষক ও কর্মচারীরা। অনেক শিক্ষার্থী; যারা নতুন ভর্তি হয়েছে, তাদের জন্য আজই স্কুল-কলেজের প্রথম দিন। এদিন সকাল থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু হয়েছে। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা গেছে উৎসবের আমেজ। এতে করে প্রাণোচ্ছল রুপ ফিরে পেয়েছে শিক্ষাঙ্গন। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস থাকলেও কোনো কোনো অভিভাবকের মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে রয়েছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা।

 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা জানিয়েছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য ১৯ দফা নির্দেশনার আলোকেই প্রস্তুত করা হয়েছে স্কুল কলেজ গুলো। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানে প্রবেশদ্বারে মাপা হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা। হাত ধোয়ার জন্য রাখা হয়েছে সবান, পানি, হ্যান্ডওয়াশ এবং হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যাবস্থা। এছাড়াও যথাযথ স্বাস্থবিধি মেনে মুখে মাস্ক পরে বিদ্যালয়গুলোতে প্রবেশ করছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীরা জানায়, দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় আসতে পেরে খুব অানন্দিত তারা।

 

সাপাহার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দিন বন্ধের পর শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আজ মুখরিত হলো বিদ্যালয় প্রাঙ্গন। একারনে শিক্ষার্থীদের আমরা ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছি। সরকারি নির্দেশনার আলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার কথাও জানান তিনি।

 

সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সাজেদুল আলম জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা ডিজিটাল ব্যানার স্থাপন করা হয়েছে ক্লাশরুমে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় উপকরণও রাখা হয়েছে। অনেকদিন পর শিক্ষক, শিক্ষার্থীর আগমনে আনন্দে পরিপূর্ণ মনে হয়েছে শিক্ষাঙ্গন।

 

উপজেলা শিক্ষা তৃষিত কুমার চৌধুরী বলেন, সরকরি নির্দেশনার আলোকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খোলা হয়েছে কিনা আমরা তা তদারকি করছি। স্কুল খোলার প্রথম দিনে উপজেলার ৯৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিতিত হার প্রায় ৮৯ ভাগ বলেও জানান তিনি।

 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল কবির জানান, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরকারি নির্দেশনার আলোকে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বিদ্যালয়গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি সহ নির্দেশনাগুলো মানছে কিনা তা মনিটরিং করা হচ্ছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।