১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

দীর্ঘবিরতির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় গাইবান্ধায় চলছে উৎসবের আমেজ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রাকিবুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে টানা ১৭ মাস ২৬ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর রবিবার গাইবান্ধার সব স্কুল ও কলেজ খুলেছে। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে উৎসবের আমেজ। ইউনিফর্ম পড়ে, কাঁধে বই-খাতার ব্যাগ ঝুলিয়ে সারি সারি শিক্ষার্থীরা আবারো ফিরেছে তাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীদের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রিয় শিক্ষাপ্রাঙ্গন। করোনার ভয়াল থাবার মধ্যেই চিরচেনা রূপে ফিরেছে স্কুল ও কলেজগুলো। প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা। প্রিয় শিক্ষক-প্রিয় বন্ধু-সহপাঠীদের পেয়ে কিছুতেই থামছে না আনন্দের উচ্ছাস। অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা নতুন ভর্তি হয়েছে, তাদের জন্য আজই হবে স্কুল-কলেজের প্রথম দিন।

 

এবিষয়ে আহম্মদ উদ্দিন শাহ্ শিশু নিকেতন স্কুল ও কলেজের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইসফার মুশফিরাত ইকবাল ছোঁয়া জানান, দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের খুবই ভালো লাগছে।

 

গাইবান্ধা সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসফিয়া তাসনিম হৃদিতা জানান, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছিলো। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় এখন সেই চিরচেনা রূপ দেখে সবাই অনেক আনন্দিত।

 

ওই কলেজের আরও একজন শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার অর্পিতা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কিন্তু স্কুল কলেজ খুলে দেয়ায় আমরা আবারও আমাদের লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে পারবো। আমরা খুবই উচ্ছ্বাসিত।

 

এনিয়ে গাইবান্ধা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবদুল কাদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য ১৯ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল তার আলোকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। আজ স্কুল-কলেজ খুললেও সব শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল ও কলেজে এসেছে। সকল শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরে স্কুলে ও কলেজে এসেছে।

 

উল্লেখ্য, দেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ই মার্চ। করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সে বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকলেও অনলাইনে ক্লাস চালু করা হয়েছিল।

 

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।