২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।শনিবার

ত্রিশালে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে সংকল্প পাঠাগার।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ইমরান হাসান বুলবুল, ত্রিশাল(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ

 

ময়মনসিংহের ত্রিশালে তিন বছর ধরে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ‘সংকল্প পাঠাগার’।

উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে গড়ে উঠা পাঠাগারটি ঐ ইউনিয়নের আলোকবর্তিকা হয়ে কাজ করছে। এ্যাড. মহিউদ্দিন আহমেদ(শাহীন) ২০১৮ সালের ১০ জুলাই গ্রামের মানুষের জ্ঞানের ক্ষুধা মেটাতে গড়ে তোলেন এই পাঠাগারটি।

 

প্রতিদিন শতশত মানুষ বই পড়তে ভীড় জমায় পাঠাগারটিতে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত পাঠকদের জন্য খোলা থাকে সংকল্প পাঠাগার(সপা)।

 

এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২ হাজার বই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে লেখা বই গুলোই এখানে বেশি।

 

এমন একটি অজপাড়াগাঁয়ে গড়ে উঠা পাঠাগারে নিয়মিতই রাখা হয় জাতীয় চারটি দৈনিক। দেশ-বিদেশের খবরাখবর রাখতে এবং বিভিন্ন বিষয়ে জানতে নবীন, প্রবীণ সকল বয়সের মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকে পাঠাগার।

 

পাঠাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান সাদিক জানান, আমি যথাসময়ে নিয়মিতই পাঠাগার খোলা রাখার চেষ্টা করি। আমার একটু পরিশ্রমে এলাকার মানুষ নিয়মিত জ্ঞানের আলো পাচ্ছে এটাতো মহা আনন্দের বিষয়। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততোদিনই এই মহান ব্রতটি করে যেতে চাই।

 

পাঠাগারের নিয়মিত পাঠক লেখক এসএম মাসুদ রানা বলেন, এই পাঠাগারটি হাতের কাছে পাওয়ায় আমাদের খুব উপকার হয়েছে। টাকা দিয়ে বই কিনে হয়তো নিয়মিত এসব বই পড়া সম্ভব হতো না। ধন্যবাদ জানায় পাঠাগারের উদ্যোক্তা আমাদের এলাকার কৃতি সন্তান এ্যাড. শাহিন ভাইকে। আমি নিজেও আমার লেখা মুক্তিযুদ্ধের কিশোর উপন্যাস মেঘ-১, মেঘ-২, ভেজা চোখ, তাহমিদের গোয়েন্দা অভিযান, ভূতের জন্মদিন, সুখ সারথি, ভূতের ডিম, নষ্ট মেয়ের গল্প, খোঁজে বেড়াই তারে, লাল সবুজের বঙ্গবন্ধু, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ সহ মোট ৩৪টি বই পাঠাগারটিতে পড়ার জন্য দিয়েছি।

 

পাঠক রাকিবুল হাসান সুমন বলেন, বই পড়তে সবসময়ই আমার ভালো লাগে। সময়-সুযোগ পেলেই আমিও এখানে বই পড়তে চলে আসি। পাঠাগারে অনেক প্রজাতির বই আছে। আমার অনেক গুলো প্রিয় বই-ই এখানে রয়েছে। আমাদের স্থানীয় লেখক এসএম মাসুদ রানার বই গুলো পড়তে আমার সবচেয়ে ভালো লাগে।

 

সংকল্প পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা এ্যাড. মহিউদ্দিন আহমেদ (শাহীন) বলেন, আমি নিজ উদ্যোগেই এই পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করেছি। আমার এলাকার মানুষের বই পড়ার চাহিদা থেকেই আমার এই উদ্যোগ। পাঠাগারটি রেজিষ্ট্রেশন পেয়েছে। অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাঠাগারের জন্য বই দিচ্ছেন। ভবিষ্যতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় নিজস্ব জায়গায় এখানে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করা সম্ভব হবে বলে আমি আশাবাদী।

 

এই পাঠাগারটি একসময় এই এলাকার সামাজিক, সাংস্কৃতিক সহ সকল ভালো কাজের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে বলে আমি মনে করি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।