এইচ এম আব্দুল্লাহ আল মাহবুব তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রোজিনা খাতুন (৩৩) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। তবে নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে দেনমোহর ও প্রতিবন্ধী সন্তানের লালন পালনের জন্য দেওয়া অর্থ ফেরৎ দিতে অস্বীকার করার কারণেই হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফজলে আশিক।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তাড়াশ পৌর এলাকার জাহাঙ্গীরগাতি গ্রামের প্রবাস ফেরত স্বামী নাজিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নিহত রোজিনা খাতুন তাড়াশ দক্ষিণ পাড়ার মৃত মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে।
গৃহবধূর ভাই শহিদুল ইসলাম জানান, দুই বছর আগে রোজিনা খাতুনের সাথে জাহাঙ্গীরগাতী গ্রামের নাজিম উদ্দিনের সাথে ডিভোর্স হয়। এ সময় তাদের ঘরে প্রতিবন্ধী একটি মেয়ে থাকায় উভয় পরিবারের লোকজনের মাধ্যেমে নাজিম উদ্দিনের কাছ থেকে দেনমহর ও প্রতিবন্ধী সন্তানের লালন পালনের জন্য ৫ লাখ টাকা প্রদানের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার রোজিনার স্বামী তার কাছে আবার সংসার করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। পরে তার বাড়িতে আসার জন্য বলেন। স্বামীর কথায় রাজী হয়ে রোজিনা বাড়িতে ফিরে যান। স্বামী নাজিম উদ্দিন তালাকের সময় দেয়া ৫ লাখ টাকা ফেরত দিলে তাকে নিয়ে সংসার করা হবে মর্মে স্ত্রী রোজিনা খাতুনকে শর্ত দেন। তখন স্ত্রী রোজিনা খাতুন ওই টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে আবারো দ্বন্দ্ব শুরু হয়। শুক্রবার রাতে রোজিনার ঝুলন্ত লাশ নাজিমের বাড়িতে পাওয়া যায়। রোজিনার ভাইদের দাবি তাদের বোনকে টাকার জন্য পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলে আশিক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
Leave a Reply