১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

ডুমুরিয়া সনাতনী ঘরে ঘরে আজ বিরাজ করছে মহানবমীর উৎসাহ উদ্দীপনা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নিজস্ব প্রতিনিধি ।

 

খুলনার ডুমুরিয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজার চথুর্ত দিন আজ মহানবমী। সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আজ শুরু হয়েছে নবমী পূজা। আগামীকাল বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে দূর্গোৎসবের সমাপ্ত হবে।নবমী পূজার এদিনে দেবীকে প্রাণ ভরে দেখবে ভক্তকূল। কারণ পরেরদিন ভক্তকে কাঁদিয়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন দূর্গতিনাশীনি দেবী দূর্গা। এই দিন অগ্নিকে প্রতীক করে সব দেব-দেবীকে আহুতি দেয়া হয়। অগ্নি সব দেবতার যজ্ঞভাগ বহন করে যথাস্থানে পৌঁছে দিয়ে থাকেন। এই দিনই দূর্গাপূজার অন্তিম দিন। পরের দিন কেবল বিজয়া ও বিসর্জনের পর্ব। নবমী তিথিতে উৎসবের রাত শেষ হয়। নবমীর রাত তাই বিদায়ের অমোঘ পরোয়ানা নিয়ে হাজির হয়। নবমী বিহিত পূজান্তে ১০৮ টিকে পদ্মফুল দিয়ে দেবীকে তুষ্ট করতে হয়ে। এসব বিবেচনা করে অনেকেই মনে করেন, নবমীর দিন আধ্যাত্মিকতার চেয়েও অনেক বেশী লোকায়ত ভাবনায় ভাবিত থাকে মন।

তবে দূর্গাপূজার প্রচলন সম্পর্কে বিভিন্নরকম মতভেদ পরিলক্ষিত হলেও ইতিহাসবেত্তা ও পূরাণ থেকে জানা যায় যে, পূরাকালে রাজ্যহারা রাজা সুরথ এবং স্বজন প্রতারিত সমাধি বৈশ্য একদিন মেধস মুনির আশ্রমে যান। সেখানে মুনির পরামর্শে তারা দেবী দূর্গার পূজা করেন। পূজায় তুষ্টা দেবীর বরে তাদের মনস্কামনা পূর্ণ হয়। এ পূজা বসন্ত কালে হয় তাই একে বাসন্তী পূজা বলে।

তবে ত্রেতা যুগে রামচন্দ্র দেবী সীতাকে উদ্ধারাম্তে রাক্ষস রাজ রাবণকে বধ করতে বর লাভের জন্য অকালে অর্থাৎ শরৎকালে দেবী দূর্গার পূজা করে বর লাভ করে রাবণকে বধ করেছিলেন। তিনি দেবী দূর্গার পূজা অকালে করেছিলেন তাই অকালবোধন বলা হয়। অর্থাৎ শরৎ কালে পূজা করেছিলেন তাই শারদীয় দূর্গাপূজা বা শারদোৎসব বলা হয়। তাই সেখান থেকেই জমিদারদের দ্বারা পারিবারিক ভাবে শরৎ কালে দূর্গাপূজা করা হতো। বর্তমানে সমষ্টিগতভাবে বলা সার্বজনীনভাবে এই পূজা পালিত হয়ে থাকে।

প্রতি বছর শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর বোধন হয়। ৭মী, ৮মী ও ৯মী তিথিতে পূজা দিয়ে দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে পাঁচ দিনের পূজার সমাপ্তি ঘটে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।