২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

ডুমুরিয়ায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতায় পরাজিত প্রার্থীর হামলায় বিজয়ী প্রার্থীসহ আহত-১০।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সরদার বাদশা,নিজস্ব প্রতিনিধি।

 

 

খুলনার ডুমুরিয়ায় ইউপি নির্বাচনে পরাজিত মেম্বর প্রার্থীর সহিংসতায় বিজয়ী প্রার্থীসহ তার ১০ জন কর্মী- সমর্থক মারপিটের শিকার হয়ে আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকার সকালে উপজেলার সাহস ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে। ভূক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহস ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান ইউপি মেম্বর সিরাজুল ইসলাম সরদার গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে পুনরায় মেম্বর নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তারই চাচাতো ভাই কামরুল ইসলাম সরদার পরাজিত হন। ওই ঘটনার জের ধরে পরাজিত প্রার্থী কামরুল ইসলাম সরদার ও তার অন্য সহযোগী শহিদুল সরদারের নেতৃত্বে গতকার সকালে বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক সাইফুর রহমান ও নাছিমুল ফকিরের বাড়ি ঘেরাও করে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে সিরাজ মেম্বর ও তার অন্যান কর্মী-সমর্থকরা তাদের উদ্ধার করতে যায়। এ সময় কামরুল ইসলামের সহযোগীরা সিরাজ মেম্বর,তার সহোদর এক পা হারা শারীরিক প্রতিবদ্ধি আজহারুল ইসলাম(৪৫),সিরাজুল সরদার(৫৫),আহম্মদ আলী গাজী(৫০),আলমগীর সরদার(৩৫),বৃদ্ধ আব্দুল আজিজ শেখ(৯০),জামিনুর সরদার(৪০),পঞ্চানন দাস(৬০)সহ অন্তত ১০ জন কর্মী-সমর্থকদের উপর চাইনিজ কুড়াল,হাতুড়ী,লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্র নিয়ে হামলা করে আহত করে। আহতদের স্হানীয় লোকজন উদ্ধার করে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ প্রসঙ্গে মেম্বর সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্হানীয় চেয়ারম্যান শেখ জয়নাল আবেদীন ও শেখ তোফাজ্জেল হোসেন তোফা নির্বাচনে আমাকে হারাতে কামরুল কে ইন্ধন দিয়ে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয়। কিন্ত তাদের উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় আজ তাদের উপস্হিতি ও নেতৃত্বে আমাকে সহ আমার কর্মিদের উপর হামলা করেছে।

 

এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন,ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৯জন কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।