সরদার বাদশা,নিজস্ব প্রতিনিধি।
খুলনার ডুমুরিয়ায় ইউপি নির্বাচনে পরাজিত মেম্বর প্রার্থীর সহিংসতায় বিজয়ী প্রার্থীসহ তার ১০ জন কর্মী- সমর্থক মারপিটের শিকার হয়ে আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকার সকালে উপজেলার সাহস ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে। ভূক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহস ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান ইউপি মেম্বর সিরাজুল ইসলাম সরদার গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে পুনরায় মেম্বর নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তারই চাচাতো ভাই কামরুল ইসলাম সরদার পরাজিত হন। ওই ঘটনার জের ধরে পরাজিত প্রার্থী কামরুল ইসলাম সরদার ও তার অন্য সহযোগী শহিদুল সরদারের নেতৃত্বে গতকার সকালে বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক সাইফুর রহমান ও নাছিমুল ফকিরের বাড়ি ঘেরাও করে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে সিরাজ মেম্বর ও তার অন্যান কর্মী-সমর্থকরা তাদের উদ্ধার করতে যায়। এ সময় কামরুল ইসলামের সহযোগীরা সিরাজ মেম্বর,তার সহোদর এক পা হারা শারীরিক প্রতিবদ্ধি আজহারুল ইসলাম(৪৫),সিরাজুল সরদার(৫৫),আহম্মদ আলী গাজী(৫০),আলমগীর সরদার(৩৫),বৃদ্ধ আব্দুল আজিজ শেখ(৯০),জামিনুর সরদার(৪০),পঞ্চানন দাস(৬০)সহ অন্তত ১০ জন কর্মী-সমর্থকদের উপর চাইনিজ কুড়াল,হাতুড়ী,লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্র নিয়ে হামলা করে আহত করে। আহতদের স্হানীয় লোকজন উদ্ধার করে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ প্রসঙ্গে মেম্বর সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্হানীয় চেয়ারম্যান শেখ জয়নাল আবেদীন ও শেখ তোফাজ্জেল হোসেন তোফা নির্বাচনে আমাকে হারাতে কামরুল কে ইন্ধন দিয়ে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয়। কিন্ত তাদের উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় আজ তাদের উপস্হিতি ও নেতৃত্বে আমাকে সহ আমার কর্মিদের উপর হামলা করেছে।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন,ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৯জন কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে।
Leave a Reply