১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

ডুমুরিয়ায় ইউপি নির্বাচনে ৩৭ জনের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সরদার বাদশা,নিজস্ব প্রতিনিধি।

 

আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন হতে গত ১৭ অক্টোবর চেয়ারম্যান পদে ৭৩ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৬২ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ৫৪৩জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। গতকাল মঙ্গলবার (২৬অক্টোবর) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে ১০জন,সংরক্ষিত সদস্য পদে ১ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ধামালিয়া ইউনিয়ন হতে চেয়ারম্যান পদের ৯জন প্রার্থীর মধ্যে বাবুল আকতার ও মোঃ আনিছুর গাজী এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪১জন প্রার্থীর মধ্যে ৩নং ওয়ার্ডের আনোয়ার পারভেজ শাওন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন।রঘুনাথপুর ইউনিয়ন হতে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৩ জন প্রার্থীর কেউ মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার না করলেও সাধারণ সদস্য পদে ৩৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭নং ওয়ার্ডের মিল্টন মন্ডল প্রত্যাহার করেছেন। রুদাঘরা ইউনিয়ন হতে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে মনিরুল ইসলাম মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন।
সংরক্ষিত আসনের ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে কেউ প্রত্যাহার না করলেও , সাধারণ ৩৭ জন সদস্য প্রার্থীর মধ্যে ৮নং ওয়ার্ড সদস্য পদ প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন।
৪নং খর্ণিয়া ইউনিয়ন হতে চেয়ারম্যান পদে ৬ জনের মধ্যে শেখ শাহিনুর রহমান মনোনয় পত্র প্রত্যাহার করেছেন।সংরক্ষিত সদস্য ১৫ জন ও সাধারণ ৪২জন প্রার্থীর মধ্যে ৯নং ওয়ার্ডের আসাদুজ্জামান লিটু,৭নং ওয়ার্ডে বাবুল হোসেন এবং ৫নং ওয়ার্ডের রাকিবুল ইসলাম ফকির মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন।
৫নং আটলিয়া ইউনিয়ন হতে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে এবিএম শফিকুল ইসলাম মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন। সংরক্ষিত সদস্য পদ প্রার্থীর ১১ জনের কেউ প্রত্যাহার না করলেও , সাধারণ সদস্য ৫২জনের মধ্যে ৫নং ওয়ার্ডের ফজলুল হক নিজামী,৮ নং ওয়ার্ডের শরিফুল ইসলাম ও বাবলুর রহমান মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন।
৬নং মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন হতে চেয়ারম্যান পদে ৯জন প্রার্থীর মধ্যে নজরুল ইসলাম ও রাশিদা বেগম মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪জনের কেউ প্রত্যাহার না করলেও সাধারণ সদস্য ৩৮জনের মধ্যে ৭নং ওয়ার্ডের আব্দুল হালিম প্রত্যাহার করেছেন। ৭নং শোভনা ইউনিয়ন হতে চেয়ারম্যান পদে ২জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৩জন, সাধারন ৪৩জন প্রার্থীর মধ্যে কেউ প্রত্যাহার করেনি।
৮নং শরাফপুর ইউনিয়ন হতে চেয়ারম্যান পদে ৪জন, সংরক্ষিত সদস্য ১০জনের কেউ প্রত্যাহার না করলেও সাধারণ সদস্য ৩৩ জনের মধ্যে ১নং ওয়ার্ডের মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্যা প্রত্যাহার করেছেন।
৯নং সাহস ইউনিয়ন হতে চেয়ারম্যান পদে ৫জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২জন, সাধারণ সদস্য ৪২জনের মধ্যে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি। ১০নং ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন হতে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সংরক্ষিত সদস্য ৯জনের কেউ প্রত্যাহার না করলেও সাধারণ সদস্য ৪১ জনের মধ্যে ৪নং ওয়ার্ডের কালিদাস বিশ্বাস, ১নং ওয়ার্ডের মোঃ এনায়েত আলী খান এবং ৩নং ওয়ার্ডের রুহুল আমিন মোল্যা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
১১নং ডুমুরিয়া ইউনিয়ন হতে চেয়ারম্যান পদে ৭জনের মধ্যে জামিল আকতার লেলিন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন। সংরক্ষিত সদস্য ১০জনের কেউ প্রত্যাহার না করলেও সাধারণ সদস্য ৩৮জনের মধ্যে ৮নং ওয়ার্ডের মোঃ হুমায়ুন কবির ও এরশাদ আলী মোল্যা মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন।
১২ রংপুর ইউনিয়ন হতে চেয়ারম্যান পদে ৪জনের মধ্যে শিব পদ জোদ্দার প্রত্যাহার করেছেন।সংরক্ষিত সদস্য ১০ জনের কেউ প্রত্যাহার না করলেও সাধারণ সদস্য ৩৩ জনের মধ্যে ১নং ওয়ার্ডের গুরুদাস জোয়াদ্দার ও ৬নং ওয়ার্ডের বিউটি রায় প্রত্যাহার করেছেন। ১৩নং গুটুদিয়া ইউনিয়ন হতে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সংরক্ষিত সদস্য ১০, সাধারণ সদস্য ৩৫জন প্রার্থীর মধ্যে সংরক্ষিত ২ নং ওয়ার্ডের কণিকা বৈরাগী এবং সাধারণ ৪নং ওয়ার্ডের বুদ্ধিশ্বর মন্ডল, ৫নং ওয়ার্ডের মৃনাল কান্তি মন্ডল এবং ৮ নং ওয়ার্ডের জি,এম হান্নান মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন। ১৪মাগুরখালী ইউনিয়ন হতে চেয়ারম্যান পদে ৩জনের মধ্যে দীনবন্ধু বালা প্রত্যাহার করেছেন।, সংরক্ষিত সদস্য ১০জনের কেউ প্রত্যাহার না করলেও সাধারণ সদস্য ৩৩জন মধ্যে ২নং ওয়ার্ডের সোনালী মন্ডল ও ৪নং ওয়ার্ডের পরিমল সরদার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।
এদিকে আগামি কাল বুধবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্ধ এবং বৃহস্পতিবার নির্বাচন আচরণ বিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রার্থীদের ব্রিফিং করা হবে বলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার কল্লোল বিশ্বাস জানিয়েছেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।