খুলনা জেলা প্রতিনিধি।
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ভারী বর্ষণে নিন্মঞ্চালসহ চিংড়ি ঘের, বীজতলা ও ফসলী জমি তলিয়ে গেছেও অনেক কাচা ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সরোজমিনে এলাকায় পরিদর্শন করেছেন ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃআবদুল ওয়াদুদ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আবুবকর সিদ্দিক। খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আব্দুল মতিন।
গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দিনভর ভারী বর্ষণে ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া টিপনা,চুকনগর,
মাদার তলা,চ্যাংমারী, শাহাপুর, সাহস রাজাপুর,সরাফপুর, শোভনা মাগুরখালীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নিন্ম অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। ভারী বর্ষণের ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। অনেক রাস্তা ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অসংখ্য চিংড়ী ঘের, আমন বীজতলা ও ফসলী জমি তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ বলেছেন,ডুমুরিয়া ১৪টি ইউনিয়নের নিন্ম অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। অনেক লীজ ঘের তলিয়ে গেছে,ভারী বর্ষণের ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে যার ফলে আমি ডুমুরিয়ার ১৪ টি ইউনিয়নের প্রায় যায়গা পরির্দশন করেছি,
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত পানি নিষ্কাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন বলেন ভারী বর্ষনে ৫ হেঃ আমন বীজতলা, ৭ হেঃ সবজি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আগামীতে সরকারি বরাদ্দ সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা তৈরী করে পূরনর্বাসন করা হবে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। অতিবর্ষন ও জোয়ারের পানিতে ডুমুরিয়া উপজেলার ১৯০৮ হেক্টর আয়তনের ২৬৫০ টি ঘের ও ১৯.৫ হেক্টর আয়তনের ২৩০ টি পুকুর গলদা-বাগদা রেনু ও রুইজাতীয় মাছসহ ভেসে গেছে। পুকুর ও ঘেরের অবকাঠামো ক্ষতি ১০ লক্ষাধিক টাকা সহ মৎস্য খাতে প্রায় ৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।ডুমুরিয়ায় ভারী বর্ষণে চিংড়ি ঘের, আমন বীজতলা ও ফসলী জমি তলিয়ে গেছে।
রঘুনাথ পুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল খোকন, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বুলু। খর্নিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ দিদার হোসেন দিদার জানিয়েছেন, ইউনিয়নের নিন্মঅঞ্চল চিংড়ি ঘের ও আমন বীজতলা তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাতে টিপনা ও বিলশিংগা অনেক লীজ ঘের তলিয়ে গেছে।
এছাড়া অনেকের মাটির ঘর অতিবর্ষণের ফলে ভেঙ্গে গেছে।
খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডুমুরিয়া জোনাল অফিসের ডিজি এম মোঃ আব্দুল মতিন জানান
ডুমুরিয়া জোনাল অফিস এর আওতাধীন বৈদ্যুতিক লাইনের ক্ষতি হয়েছে,পোল হেলা- ৪টি এইচটি তার ছেড়া-১৩টি এলটি তার ছেড়া- ২৫টিগাই তার ছেড়া –
এসডি ছেড়া -৩৫ টি মিটার ভাঙ্গা/পোড়া – ২৭টি
লাইনে গাছ পড়া- ৫৬ টি.ট্রান্সফরমার ফিউজ পুড়া-৩৫টি সেকশন ফিউজ পোড়া-৩২টি, ক্রস আম পোড়াঃ ০০টি,ট্রান্সফরমার নষ্টঃ ৪ টি
বর্তমানে ডুমুরিয়া জোনাল অফিসের সকল ৩৩ ও ১১ কেভি ফিডার চালু রয়েছেন।
Leave a Reply