১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

ডুমুরিয়ায় ঘেরের বেড়ীতে অফসিজন তরমুজ চাষ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রাশিদুজ্জামান সরদার ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি।

 

ডুমুরিয়া ( খুলনা) দিগন্ত জুড়ে শুধু তরমুজ আর তরমুজ। দিগন্তের ঐ নীলিমার নীলে মিশে যেন একাকার হয়ে গেছে বুধবার সকালে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রমের এ বিলটির তরমুজ ক্ষেতগুলো। সমস্ত ঘেরেই শোভা পাচ্ছে এশিয়ান-২, সোনিয়া, ব্লাকবেবি, কানিয়া, তৃপ্তি, রেড ড্রাগন জাতের তরমুজ। এক একটি তরমুজ একেকটি স্বপ্ন। ঘেরেই পার্টি এসে নিয়ে যাচ্ছে, তরমুজ ; দিয়ে যাচ্ছে নগদ অর্থ। খামারেই প্রতিকেজি তরমুজের মূল্য জাত ভেদে ২৮-৩৩ টাকা। একবিঘা জমির ঘেরের পাড়ে তরমুজ লাগাতে ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর জাত ভেদে মাত্র ৬৫-৭০ দিনে ৬০,০০০-১০০০০০/- টকা লাভ করা যায়। লবন সহনশীল ফসল হওয়ায় লবনাক্ত বাগদা ঘেরের আইলে ও অনায়সে চাষ করা যায়। কোন সেচ খরচ লাগেনা, ঘেরের আইলে লাউ, মিষ্টি কুমড়া আবাদের মত পরিচর্যাতেই হয়ে যায়। তরমুজের জন্য তৈরিকৃত মাচা পরবর্তী শিমসহ অন্যান্য ফসলে ব্যবহার করা যায় এবং একবার তৈরিকৃত মাচা ২-৩ বছর ব্যবহার করা যায়। এছাড়া অন্যন্য ফসলের মত এটি বেচতে তেমন সমস্যা হয়না। বেপারি সরাসরি মাঠ থেকে কিনে নিয়ে যায়। কুলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আসাদ মোড়ল গত ২০/০৮/২১ তারিখে তার বিক্রয়কৃত ৩০ মনের মূল্য ৩৯৬০০ টাকা বুঝে পেয়ে খুব খুশি। অদ্য২৫/৮/২১ তারিখে এই তরমুজ চাষ পরিদর্শনে আসেন খুলনা-৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক সফল মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং অত্যন্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। আগামীতে তিনি এই খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং কিভাবে ঢাকার বাজারে পৌছানোর মাধ্যমে ন্যয্যমূল্য পাওয়া যায় তিনি তা নিয়ে কাজ করবেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন, উপসহকারী কৃষি অফিসার আশুতোষ দাস, প্রকাশ চন্দ্র রায় এবং কয়েকজন কৃষক।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।