গত সপ্তাহে ওমান উপকুলের বাইরে অবস্থান করা ‘দ্য এমভি মার্সার স্ট্রিট’ ইসরায়েলি তেল ট্যাংকারে ড্রোন হামলায় দুজন ক্রু নিহতের ঘটনায় ইরানকে দোষারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। পাশাপাশি ইরানকে আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন লঙ্ঘনের দায়েও অভিযুক্ত করেছে ইসরাইয়েলের মিত্র এই দুটি দেশ।
ট্যাঙ্কার হামলার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেন, এই ঘটনায় যুক্ত থাকার পিছনের ইরানই দায়ী এবং আমাদের কাছে তার উপযুক্ত প্রমান রয়েছে। আমরা জানি কিভাবে ইরানকে তার উচিত জবাব দিতে হবে এবং আমরা আমাদের মত করেই জবাব পাঠাবো। আমরা আশা করি, বিশ্বনেতৃবৃন্দ ইরানের এই গুরুতর অপরাধ সম্পর্কে নিশ্চয়ই অনুধাবন করবে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এমন বিবৃতি প্রকাশ পাবার পর পরই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে বিবৃতি দেয়া হয়। রোববার (১ আগস্ট) যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, ‘লন্ডন বিশ্বাস করে যে এমভি মার্সার স্ট্রিটে একাধিক ড্রোন হামলার পিছনে ইরান দায়ী। ইচ্ছেকৃতভাবে এই হামলা চালিয়ে ইরান আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করেছে। ইরানকে অবশ্যই এসব হামলা বন্ধ করতে হবে এবং নৌযানগুলোকে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে দিতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টোনি ব্লিনকেনও একই সুরে বলেন, ‘ওয়াশিংটনও দৃঢ়ভাবে মনে করে যে হামলাটির পিছনে ইরানই দায়ী এবং তাদের বিপক্ষে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত।’
ইরান তাদের বিপক্ষে আনীত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র সাইয়েদ খাতিবযাদেহ বলেছেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। জিওনিস্টরাই বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ ও হিংস্রতা ছড়িয়ে মানুষের মাঝে অনিরাপত্তা তৈরি করেছে। ইসরায়েলকে অবশ্যই ইরানের বিরুদ্ধে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ বন্ধ করতে হবে, নয়ত তাদেরকে এসবের ফলাফল ভোগ করতে হবে।’
গত মার্চ থেকে ইরান ও ইসরায়েল পরিচালিত নৌযানগুলোতে আক্রমন-পাল্টা আক্রমনের ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। এ নিয়ে উভয় দেশই একে অপরকে পাল্টা দোষারোপ করে আসছে। গত সপ্তাহের ঘটনাটি দুটি দেশের মধ্যকার চলমান ছায়া-যুদ্ধের নতুন সংস্করন হিসেবে গন্য করা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি।
Leave a Reply