৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

ঝিকরগাছার অসহায় মানুষের পাশে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শাহাবুদ্দিন মোড়ল ঝিকরগাছা যশোর :

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার অসহায় মানুষের পাশে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বলে দাবি করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হাসপাতাল) ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডা: এস.কে. রাজিবুল ইসলাম। হাসপাতালের অন্তঃবিভাগে গিয়ে সরজমিনে দেখা যায় তিনি প্রতিটি গুরুতর রোগীর কাছে গিয়ে মনোযোগ সহকারে সমস্যার কথা শুনে চিকিৎসা দিচ্ছেন। নিজ হাতে রোগীর প্রেসার এবং ডায়াবেটিস মাপছেন। তার সেবায় হাসপাতালে চিকিৎসাা নিতে আসা রোগীরা বেশ সন্তুষ্ট। করোনার মধ্যেও নিজের জীবনে ঝুঁকি নিয়ে রোগীর কাছে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া ডাক্তারে সংখ্যা অনেক কম হলেও উনি নিয়মিত রোগীদের সেবা দান করছেন। ইতিমধ্যে চলতি আগষ্ট মাসের শুরুতেই তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হাসপাতাল) ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডা: এস.কে. রাজিবুল ইসলাম বলেন, আমাকে যখন কেউ প্রশ্ন করে, ডাক্তার সাহেব হাসপাতালে কি সিজার হচ্ছে? ডাক্তার সাহেব, বাচ্চার মায়ের প্রসব বেদনা উঠেছে, কি করবো? তখন মনটা খারাপ হয়ে যায়। জনগনের মনে ভয় ধরিয়ে তাদেরকে বছরের পর বছর সরকারি হাসপাতাল বিমুখ করছে একদল অসাধু দালাল। আমি ঝিকরগাছাবাসী কে জানাতে চাই, আপনারা সরকারি হাসপাতালে আসুন। ২৪ ঘন্টা সহজ সন্তান প্রসব নিশ্চিত করার জন্য আমাদের রয়েছেন ৪ জন প্রশিক্ষিত মিউ-ওয়াইফ। সকাল ৮টা থেকে ২টা অবধি প্রতিদিন সিজার করছেন জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা: আঞ্জুমান আরা ইলোরা (এফসিপিএস গাইনি এন্ড অবস) সম্পুর্ণ বিনামুল্যে ঝিকরগাছা হাসপাতালে সিজার এনং নরমাল ডেলিভারি হচ্ছে। আপনারা আসুন, ভরসা রাখুন। সরকারি হাসপাতাল থেকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এছাড়াও তিনি করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে হালকা জ্বর, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রায় জ্বর, গায়ে ফুসকুড়ি ও প্রচন্ড মাথাব্যাথা হয়। আপনার ডেঙ্গু বা করোনাভাইরাস হয়েছে সন্দেহ হলে, সাথে সাথে সরকারি হাসপাতালে এসে ডাক্তারের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে নিন এবং তার পরামর্শ মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।