৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

জীবন্ত গাছে বিদ্যুৎ লাইন আতঙ্কে এলাকাবাসী।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ।

 

খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার বল্টুরামটিলা এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য খুঁটির পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে জীবন্ত গাছ। প্রায় ২০ বছর ধরে এভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে রামগড় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর বিরুদ্ধে। বড় কোনো দুর্ঘটনার ঘটে যাওয়ার ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এ এলাকার বাসিন্দারা। তবে আবাসিক প্রকৌশলী দাবি করছেন তিনি বিষয়টি জানতেন না।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, বল্টুরাম টিলা এলাকার মুসলিম পাড়ার একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে হকটিলা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে বাড়ি এবং দোকানপাটে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণ না থাকায় বৈদ্যুতিক লাইনগুলো ঝুলে মাটিতে এসে পড়েছে। এতে ঝড়, বৃষ্টি কিংবা বাতাসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী অহিদুর রহমান জানান, মুসলিম পাড়া থেকে হক টিলায় প্রায় ৫০-৬০টি গাছের সঙ্গে বেঁধে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ সড়কের পাশে অবস্থিত গাছগুলো দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। বিদ্যুতের তার এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে থাকায় যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা মৌলভি গোলাপ মিয়া (৭৫) জানান, ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে এভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর ঘরের টিনের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নেওয়া হয়েছে। যার ফলে গত বছর তার বাড়িতে আগুন লাগে। পিডিবিকে জানালেও তারা কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান তিনি।

 

রামগড় পৌর ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক জানান, নিয়মের তোয়াক্কা না করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে পিডিবি। তারের কাছে থাকা গাছের ডাল দীর্ঘদিন কাটা হয়নি। সামান্য বাতাস এলেই ডালে আগুন ধরে যায়। তারগুলো খুব নিচে ঝুলে থাকায় গ্রামবাসী আতঙ্কে থাকে। স্থানীয় কাউন্সিলর এবং পিডিবিকে অনেকবার এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।

 

রামগড় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বল্টুরামটিলার কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন জানান, মুসলিম পাড়া থেকে হকটিলা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করার প্রক্রিয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ভুক্তভোগীরা অনেক আগে থেকে এ বিষয়ে তাঁকে জানিয়েছেন। বিষয়টি পিডিবি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

 

জীবন্ত গাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ তা স্বীকার করে রামগড় পিডিবির আবাসিক প্রকৌশলী আহসান উল্ল্যাহ জানান, কর্মস্থলে নতুন যোগদান করায় তিনি বিষয়টি জানতেন না। বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ১০০-২০০ ফুট বেশি দূরত্বে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা উচিত নয়। খুব শিগগিরই গাছ থেকে লাইনগুলো সরিয়ে নতুন বৈদ্যুতিক পিলারে সেগুলো স্থাপন করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।