মোঃ সোহাগ আরেফিন ( নাটোর জেলা প্রতিনিধি)
গত বুধবার জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, ঢাকায় এক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।স্থানীয় সরকার বিভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (প্রশাসন শাখা) কর্তৃক স্মারক মূলে জানা যায়,
গত ১২/০৯/২১ তারিখ স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মহোদয়ের সভাপতিত্বে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন উপলক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করুন এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম দক্ষতার সাথে সম্পাদনের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন/ দূতাবাস ও প্রতি প্রশাসনিক বিভাগ হতে শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ এবং শ্রেষ্ঠ উপজেলা,শ্রেষ্ঠ জেলা ও শ্রেষ্ঠ বিভাগকে পুরস্কৃত করা হয়। নিবন্ধক কার্যালয়কে একটি সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয় । ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভাস্থল হতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান/ মনোনীত প্রতিনিধিগণ কার্যালয়ের পক্ষে সম্মাননা সনদ গ্রহণের জন্য উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিভাগে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ অর্জন করে ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ৫ নং ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য ও দক্ষ চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল মতিন মাস্টার।
জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ট পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মাষ্টার বলেন,এ কৃতিত্ব শুধু আমার একার নয়। ধারাবারিষার ইউনিয়ন বাসীর। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার অর্জন করতে পেরে নিজেকে অনেক গর্বিত মনেহচ্ছে।ইউনিয়নবাসীর সকলের প্রচেষ্টায় ৪৫৭১টি ইউনিয়নের মধ্যে আমাদের ইউনিয়ন ১ম স্থান যা আমাদের ইউনিয়নের গর্ভ ও নাটোর জেলার অহংকার। আর এই গৌরবের পিছনে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অবদান রয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।তারা যদি আমাকে সহযোগিতা না করতেন তাহলে এই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা হয়তো সম্ভব হতো না।গ্রামের অধিকাংশ মানুষই জানে না আসলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সম্পর্কে তাই তাদের কাছে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা ও উদ্ভূত করার জন্য প্রতিটা গ্রামে গ্রাম পুলিশ দিয়ে বুঝানো হয়।ইউনিয় ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোঃ আতিকুর রহমানও এই কাজে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখেন।
তিনি আরো বলেন,০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করলে তাদের পরিষদ থেকে পুরষ্কৃার দেওয়া হয় ।তাছাড়াও বিভিন্ন জায়গাতে ক্যাম্পেইন করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা হয়। এছাড়াও ইউনিয়নের প্রতিটা উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে তাদের সহযোগীতা করে থাকি।তাদের সুখে দুখে সার্বক্ষনিক পাশে থাকি।এই অর্জনের জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ও সেই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু- স্বাস্থ্য ও দীর্ঘআয়ু কামনা করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অত্র ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল সালাম দফাদার বলেন, আমাদের এই ইউনিয়ন জাতীয় পর্যায়ে এমন সম্মাননা অর্জন করায় আমরা গর্বিত। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি। আমরা চাই আমাদের ইউনিয়ন সারাদেশের মডেল ইউনিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাক।
Leave a Reply