সরদার বাদশা ,নিজস্ব প্রতিনিধি।
চুকনগরে বাদশা ট্রেডার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সরদার বাদশা(৩০)কে মিথ্যা মামলায় হয়রানী করার অভিযোগ করেছে তিনি। এই সংশয়ে তার নামে মামলা করার আগেই ডুমুরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সরদার বাদশা জানায়, ডুমুরিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চুকনগর বাজারে বাদশা ট্রেডার্স নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সাল থেকে বেশ শুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানে ফ্রিজ, টিভি, রাইস কুকার, পেশার কুকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও স্টিলের খাট, শোকেস, আলমারিসহ ফার্নিচার সামগ্রী নগত ও কিস্তিতে বিক্রয় করা হয়। কিন্তু আজিদা বেগম(৪০) নামে এক মহিলার কাছে বাকীতে মাল বিক্রয় করেন তিনি। আজিদা বেগম বিক্রয়ের পাওনা টাকা দিতে অস্বীকার করায় তিনি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আসামী মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাকে বিভিন্ন সময় অপমান-অপদস্ত, মারপিট এমনকি হত্যা হুমকি প্রদান করে। কিন্তু তিনি মামলা প্রত্যাহার না করায় পরিকল্পিতভাবে গত ৯অক্টোবর রাত ৮টার দিকে বাদশা মটরস এ ব্যাটারি ক্রয় করতে আসে তারা। এসময় বিবাদী একই উপজেলার নরনিয়া গ্রামের মফিজুর রহমান ও আবু তাহেরসহ ২/৩জনকে সাথে নিয়ে রুমের ভিতরে প্রবেশ করেই তাকে গুম ও হত্যার হুমকী দেয়। যার ভিডিও ফুটেজ এখনো দোকানে সংরক্ষিত আছে। বিষয়টি তিনি ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ওবাইদুর রহমান ও আটলিয়া ইউনিয়নে বিট উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমানকে জানান।
১০অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে একই কথা বলে (ব্যাটারী ক্রয়ের টাকা দেয়ার কথা বলে) মফিজুর রহমান তাকে ডুমুরিয়া মাহেন্দ্রা ষ্ট্যান্ডে আসতে বলে। তখন তিনি আসামীদের পরিকল্পনার বিষয় বুঝতে না পেরে মাহেন্দ্রা ষ্ট্যান্ডে আসেন। এসময় জোরপূর্বক তাকে মাহেন্দ্রায় তুলে খুলনা অভিমুখে নিয়ে যেতে থাকে তারা। জোরপূর্বক তাকে মাহেন্দ্রায় তুলে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে এলোপাতাড়ী পিটাতে থাকে তারা। তার কাছে থাকা ১লক্ষ ২৫হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাজারের রেষ্ট্রি অফিসের সামনে মাহেন্দ্র থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনি দৌঁড় দেয়ার চেষ্টা করলে বিবাদী আজিদা বেগম (৪০), মফিজুর রহমান (৩৮) আবু তাহের(৩৬) ও রানী বেগম (৩৫)সহ ১০/১২জন তাকে বেদম মারপিট করে নিশ্চিত মৃত জেনে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
বিষয়টি স্থানীয়রা ওসি ওবাইদুর রহমানকে জানালে থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এঘটনায় তিনি সুস্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে পিবিআইতে তদন্তে আছে। মামলার পর আবারও তারা হুমকী ধামকী দিতে থাকে। এঘটনায় তিনি ১২অক্টোবর ডুমুরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। এতে তারা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে এবং ২১অক্টোবর আজিদা বেগম বাদী হয়ে তার নামে আদালতে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করে। যে মামলাটির তদন্ত ডুমুরিয়া থানাকে দেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বেও তার নামে রানী বেগম নামে এক মহিলা বাদী হয়ে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেন। পিবিআই তদন্তে যার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। ফলে সে মামলা থেকেও তাকে অব্যহতি দেয়া হয়। এসব কারণে বর্তমানে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনাতিপাত করছে।
Leave a Reply