১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

চট্রগ্রামে দুই ভান্ডারী নজিবুল ভান্ডারীর প্রতি সাইফুদ্দিন ভান্ডারীর চ্যালেন্জ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

চট্রগ্রামে দুই ভান্ডারীঃ
=================
নজিবুল ভান্ডারীর প্রতি সাইফুদ্দিন ভান্ডারীর চ্যালেন্জ
জসিম মাহমুদ♦
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে প্রার্থী নিয়ে সঙ্কটে পড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এখান থেকে এমপি হন মহাজোটের প্রার্থী তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। এবারও তিনিই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী।
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নজিবুল বশরকে মেনে নিতে পারছেন না। তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেছে।
এরই মধ্যে সামনে এসেছেন মহাজোটের আরেক শরিক সম্মিলিত জোট ও সুন্নি মহাজোটের প্রার্থী সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী। তার নিজের দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি নিবন্ধিত না হওয়ায় ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম-২ ও ঢাকা-১৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে অংশ নেই। তার নির্দেশেই আমি নির্বাচনে নেমেছি।’

সাইফুদ্দিন মাইজভান্ডারী আরও বলেন, ‘প্রথমত নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাও হচ্ছে। তবে বিকল্প হিসেবে মোমবাতি প্রতীকও রেখেছি।’

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মঈনুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন হলেও উপজেলায় সাইফুদ্দিনের ক্লিন ইমেজ রয়েছে। সুন্নি আকিদা, সুফিবাদের মতাদর্শীরা ছাড়াও মাইজভান্ডারী তরিকার প্রায় ১ লাখ ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে তার। হেফাজতে ইসলামেরও সমর্থন পাবেন তিনি।’
সাইফুদ্দিনের সমর্থকরা মনে করছেন, প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও তরিকত ফেডারেশনের তৃণমূলে দূরত্ব বেড়েছে।
নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে নৌকার প্রার্থী করাই ক্ষুদ্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। তারা তরিকত ফেডারেশনের এই নেতাকে মেনে নিতে পারছেন না।

স্থানীয় নেতারা নজিবুল বশরকে মহাজোট থেকে মনোনয়ন না দিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলামের পরিবর্তে নজিবুল বশরকে জোটের প্রার্থী করায় বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দিন মুহুরী বলেন, ‘আমরা তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। এখন প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা এখানে দলীয় প্রার্থী চাই। জোটের কাউকে চাই না।’

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে বিজয়ী হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। পরে মানবতাবিরোধী অপরাধে তার ফাঁসি কার্যকর হয়।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এমপি হন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।