রাকিবুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ধর্মীয় সভার অনুকূলে সাবেক সংসদ সদস্যের ডিও লেটার এর প্যাডে উল্লেখিত প্রকল্পের অনুকুলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রনালয় (জিআর)প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ৫ হাজার ৮২৩ মেট্রিকটন সরকারি চাল উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ও পৌরসভার বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ও প্রতিষ্ঠানে বরাদ্ধ দেয়। যা তৎকালিন সময়ে প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতাসীন সাংসদের তত্বাবধানে বিলিবন্টন করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানগণ জানিয়েছেন। দরবস্ত ইউপি”র চেয়ারম্যান আ. র. ম. শরিফুল ইসলাম জর্জ, গুমানীগঞ্জের চেয়ারম্যান শরীফ মোস্তফা জগলুল রশিদ রিপন সহ তারা আরও জানান, সে সময়ে এমপির নির্দেশ ছাড়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোন বরাদ্ধ অনুমোদন ও ছাড় হয়নি। তাঁরা আরও জানান সাবেক এই সাংসদ তাঁর প্যাডে উল্লেখিত বরাদ্ধকৃত চাল সুষ্ঠভাবে বিতরণ করেছেন এবং জি আর চাল বিতরণে কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি বলেও প্রত্যয়ন পত্রে উল্লেখ করেছেন। এ ব্যাপারে সাবেক সাংসদ ও সাবেক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ কে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে জাল কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি ত্রাণ সহায়তার চাল আত্মসাতের অভিযোগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জনপ্রতিনিধি সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ বাদী হয়ে ২৬ আগস্ট /২০২১ এই মামলা দায়ের করেন। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাঁরা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলাম, কামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোশাহেদ হোসেন চৌধুরী, কাটাবাড়ির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রফিক, শাখাহারের চেয়ারম্যান তাহাজুল ইসলাম ভু্ট্র, রাজাহারের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ সরকার, সাপমারার চেয়ারম্যান শাকিল আলম, দরবস্ত ইউপি”র চেয়ারম্যান আ. র. ম. শরিফুল ইসলাম জর্জ, তালুককানুপুরের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক, নাকাই এর চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আকতারা বেগম রুপা, রাখালবুরুজের চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন, ফুলবাড়ীর চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লা, গুমানীগঞ্জের চেয়ারম্যান শরীফ মোস্তফা জগলুল রশিদ রিপন, কামারদহের সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রতন, কোচাশহরের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, শিবপুরের চেয়ারম্যানমোঃ সেকেন্দার আলী মন্ডল, মহিমাগঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল লতিফ প্রধান, শালমারার সাবেক চেয়ারম্যান আমির হোসেন শামীম ও গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর গোলাপী বেগম।
দায়েরকৃত মামলায় অন্তঃভুক্ত নামের অধিকাংশই সম্মানিত জনপ্রতিনিধি বলে এলাকায় তাদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এ মামলার আনয়ন বলে জানিয়েছেন কামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোশাহেদ হোসেন চৌধুরী,গুমানীগঞ্জের চেয়ারম্যান শরীফ মোস্তফা জগলুল রশিদ রিপন,দরবস্ত ইউপি”র চেয়ারম্যান আ. র. ম. শরিফুল ইসলাম জর্জ, কামারদহের সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রতন,শিবপুরের চেয়ারম্যান মোঃ সেকেন্দার আলী মন্ডল,রাখালবুরুজের চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন, ফুলবাড়ীর চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লাসহ প্রমূখ। তাঁরা মামলার সুষ্ট তদন্ত প্রত্যাশা করেছেন।
Leave a Reply