৩রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে হাইওয়ে পুলিশের নানা উদ্যোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ওসমান গনি গজারিয়া প্রতিনিধিঃ

গজারিয়া উপজেলা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের মেঘনা সেতু থেকে মেঘনা-গোমতী সেতুর দূরত্ব মাত্র ১৩ কিলোমিটার। ভবেরচর হাইওয়ে থানার তথ্যমতে এই ১৩ কিলোটমিটার জায়গায় ব্ল্যাক স্পটের সংখ্যা ১৭টি যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। প্রায়ই এখানে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে এবার জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ নানা ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে তারা এসব উদ্যোগের সুফল পেতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন ভবেরচর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ।

 

গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহজালাল বাবুল জানান,চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে থানায় যোগদান করেন। তিনি যোগদান করার পর থেকে মহাসড়কটির গজারিয়া অংশে দুর্ঘটনা রোধে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি।মহাসড়ক হতে প্রতিনিয়ত থ্রি হুইলার আটক করে প্রসিকিশন দাখিলের পর ১৫ দিন আটক রাখা হয়। নিরাপদ সড়কের জন্য ফিডার রোডে মহাসড়ক সংযোগস্থলে থ্রি হুইলার মহাসড়কে না চলার জন্য সতর্কীকরণ একাধিক নোটিশ বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। মহাসড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা,দোকানপাট ও বাজার উচ্ছেদ করা হয়েছে।সংযোগ-ফিডার রোডে কমিউনিটি পুলিশ দ্বারা নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দিবারাত্রি পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। থ্রি হুইলার না চলার জন্য মাসে একাধিকবার মাইকি করা হচ্ছে। প্রতিমাসে চালক এবং হেলপারদের সাথে অন্তত দুইবার জনসচেতনতামূলক কর্মশালা পালন হচ্ছে। পুলিশের নানা উদ্যোগের মহাসড়কটিতে অন্যান্য সময়ের তুলনায় দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে এসেছে। গত দেড় মাসে সড়ক দুর্ঘটনা জনিত কারণে মামলা হয়েছে মাত্র তিনটি।

 

ভবেরচর হাইওয়ে থানার সূত্রে জানা গেছে, গত দেড়মাসে নিয়ম ভঙ্গ করে গাড়ি চালানোর দায়ে ১৩৫টি মামলা করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এর অধিকাংশ মামলাই নিয়ম ভঙ্গ করে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য। মহাসড়ক থেকে ঘটা দুর্ঘটনার অধিকাংশের কারণ অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৭টি দুর্ঘটনায় ১৭জন মারা গেছে আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক তবে গত বছর এ সময়ের তুলনায় এ সংখ্যাটা অনেক কম।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।