১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

খুলনায় সালমানের খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ শেখ শহীদুল্লাহ আল আজাদ,স্টাফ রিপোটারঃ

 

খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায় উপজেলা পরিষদের সামনে, সালমান হত্যার প্রতিবাদ ও ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসী ও ছাত্রদের উদ্যোগে ২৭ সেক্টেম্বর সোমবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় সালমানের লাশ ঢাকা থেকে রূপসা উপজেলা পরিষদের সামনে পৌছালে, লাশ সামনে রেখে উক্ত মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা সালমান হত্যার খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকর করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্শন করে বলেন, আমরা শুধু রূপসা উপজেলায় নয় আসামীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবিতে খুলনা শহরের ও মানববন্ধন করবো। বক্তারা আরো বলেন কিছু দুষ্কৃতকারীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৭ই সেপ্টেম্বর রাত এগারোটায় রায়েরমহল এলাকায় সালমান কে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনার আট দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা মৃত্যুবরণ করেন সালমান। উক্ত বিষয়ে বক্তারা বলেন, সালমানের মত এত ভাল মেধাবী ছাত্র কে যারা তিল তিল করে হত্যা করেছে আমরা তাদের অবিলম্বে ফাঁসী চাই।

নিহত সালমান রূপসা উপজেলার সামন্তসেনা গ্রামের মোঃ সেকেন্দার শেখের ছেলে ।

আড়ংঘাটা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রূপসা থেকে যশোর এম এম কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য খুলনার আড়ংঘাটা থানা এলাকায় রায়ের মহল পশ্চিমপাড়া এলাকার বন্ধু রোমান খন্দকারের বাড়িতে আসেন । সেখানে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয়,জাহাঙ্গীর, আলমগীর, রব , দিপু ও পিন্টু খন্দকার ওত পেতে থাকে। সালমান রাত ১০ টার দিকে এলাকায় ঢুকলেই প্রথমে তাকে ডাক দেয়। সালমান কাছে আসলে তাকে চোর বলে ধাওয়া দিয়ে গণপিটুনি দেয়। এ সময় তার মাথায় ইট দিয়ে, পিটিয়ে হাত, পা ও পাঁজরের হাড় ভেঙে ফেলা হয় এবং মাথায় আঘাত করলে বমি করতে থাকে। প্রথমে স্থানীয় লোকজন ধরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে রেফার করা হয় । মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তির ৮ দিন পর মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন। নিহত সালমান এর ভাই মোঃ শাহিন শেখ বাদী হয়ে আড়ংঘাটা থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করতে না পারলেও এ ঘটনায় জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে আড়ংঘাটা থানা পুলিশ। এই ঘটনার আসামিরা হল আজিম খন্দকারের ছেলে জাহাঙ্গীর খন্দকার ,আলমগীর খন্দকার, আব্বাস খন্দকারের ছেলে দিপু খন্দকার, রাব্বানী খন্দকারের ছেলে পিন্টু খন্দকার, এবং রব খন্দকার।

আড়ংঘাটা থানায় মামলা নাম্বার ৬।

সালমান হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ দিকে সকাল ১০ টায় মানববন্ধন শেষ করে বেলা ১১ টার সময় সামন্তসেনা প্রাইমারি স্কুলের মাঠে জানাজা শেষে সালমান কে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।