মোঃ শেখ শহীদুল্লাহ আল আজাদ,স্টাফ রিপোটারঃ
খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায় উপজেলা পরিষদের সামনে, সালমান হত্যার প্রতিবাদ ও ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসী ও ছাত্রদের উদ্যোগে ২৭ সেক্টেম্বর সোমবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় সালমানের লাশ ঢাকা থেকে রূপসা উপজেলা পরিষদের সামনে পৌছালে, লাশ সামনে রেখে উক্ত মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা সালমান হত্যার খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকর করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্শন করে বলেন, আমরা শুধু রূপসা উপজেলায় নয় আসামীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবিতে খুলনা শহরের ও মানববন্ধন করবো। বক্তারা আরো বলেন কিছু দুষ্কৃতকারীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৭ই সেপ্টেম্বর রাত এগারোটায় রায়েরমহল এলাকায় সালমান কে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনার আট দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা মৃত্যুবরণ করেন সালমান। উক্ত বিষয়ে বক্তারা বলেন, সালমানের মত এত ভাল মেধাবী ছাত্র কে যারা তিল তিল করে হত্যা করেছে আমরা তাদের অবিলম্বে ফাঁসী চাই।
নিহত সালমান রূপসা উপজেলার সামন্তসেনা গ্রামের মোঃ সেকেন্দার শেখের ছেলে ।
আড়ংঘাটা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রূপসা থেকে যশোর এম এম কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য খুলনার আড়ংঘাটা থানা এলাকায় রায়ের মহল পশ্চিমপাড়া এলাকার বন্ধু রোমান খন্দকারের বাড়িতে আসেন । সেখানে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয়,জাহাঙ্গীর, আলমগীর, রব , দিপু ও পিন্টু খন্দকার ওত পেতে থাকে। সালমান রাত ১০ টার দিকে এলাকায় ঢুকলেই প্রথমে তাকে ডাক দেয়। সালমান কাছে আসলে তাকে চোর বলে ধাওয়া দিয়ে গণপিটুনি দেয়। এ সময় তার মাথায় ইট দিয়ে, পিটিয়ে হাত, পা ও পাঁজরের হাড় ভেঙে ফেলা হয় এবং মাথায় আঘাত করলে বমি করতে থাকে। প্রথমে স্থানীয় লোকজন ধরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে রেফার করা হয় । মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তির ৮ দিন পর মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন। নিহত সালমান এর ভাই মোঃ শাহিন শেখ বাদী হয়ে আড়ংঘাটা থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করতে না পারলেও এ ঘটনায় জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে আড়ংঘাটা থানা পুলিশ। এই ঘটনার আসামিরা হল আজিম খন্দকারের ছেলে জাহাঙ্গীর খন্দকার ,আলমগীর খন্দকার, আব্বাস খন্দকারের ছেলে দিপু খন্দকার, রাব্বানী খন্দকারের ছেলে পিন্টু খন্দকার, এবং রব খন্দকার।
আড়ংঘাটা থানায় মামলা নাম্বার ৬।
সালমান হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ দিকে সকাল ১০ টায় মানববন্ধন শেষ করে বেলা ১১ টার সময় সামন্তসেনা প্রাইমারি স্কুলের মাঠে জানাজা শেষে সালমান কে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।
Leave a Reply