অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনা ঃ
বৈরী আবহাওয়া ও দিনভর বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে গত সোমবার কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উৎসবমূখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কয়রায় ভোটগ্রহণ শেষে ৭ ইউনিয়নের মধ্যে ৬টির বেসরকারী ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে কয়রা সদর ইউনিয়নে বিচ্ছিন্ন ঘটনায় ফলাফল স্থগিত রেখে বাকি ৬ ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে নৌকা ও এক বিদ্রোহী প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়।
উপজেলার কয়রা সদর ইউনিয়নে ৪নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন ঘটনায় মারামারিতে কেন্দ্রটিতে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
কয়রা সদর ইউনিয়নে এসএম বাহারুল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে স্থগিতকৃত কেন্দ্র বাদে ৩১৬৮ ভোটে এগিয়ে আছেন। তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা – ৭৬৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫২৯ ভোট। ঐ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির মোহাঃ হুমায়ুন কবির আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯৫৮ ভোট।
কয়রা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ীরা হলেন —–
আমাদী ইউনিয়নে জিয়াউর রহমান জুয়েল নৌকা প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা – ১০৪৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বার বার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ আমির আলী গাইন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৩৯১ ভোট।
বাগালী ইউনিয়নে আব্দুস ছামাদ গাজী নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা – ১৩৮৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ সোহরাব গাজী মটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন – ৫৪৭৫ ভোট।
মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে প্রভাষক শাহনেওয়াজ শিকারী নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা – ৯৭১৮ ভোট । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির জিএম রফিকুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৪২৬৯ ভোট। ঐ ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক (সদ্য বহিষ্কৃত) বিজয় কুমার সরদার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে পেয়েছেন – ৩১৯৫ ভোট।
মহারাজপুর ইউনিয়নে আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল্লাহ আল্ মাহমুদ নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা – ১৬০৩১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এম আনোয়ার হোসেন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন – ১৯৯৫ ভোট।
উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নে আলহাজ্ব সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা – ২৮৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার মতিয়ার রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন – ২৬৩৪ ভোট।
দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আছের আলী মোড়ল আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা – ৬৪১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির গাজী সিরাজুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৪২৩১ ভোট। ঐ ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জিএম কবি শামসুর রহমান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২৪১৫ ভোট।
কয়রা উপজেলার নবনির্বাচিত সকল ইউপি চেয়ারম্যান সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ও সাধারন সদস্যদের দলীয় নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন সামাজিক – সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সূধীজন অভিনন্দন জানিয়েছেন।
Leave a Reply