১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

কয়রায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতারণার অভিযোগ ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনা ঃ

কয়রায় জনৈক ইউপি সদস্য কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের ২ লক্ষ টাকার চেক পাইয়ে দিতে ৩২ হাজার ৭০০ টাকা বিকাশ করার জন্য একাধিক মুক্তিযোদ্ধার সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মাদ গাজী, ওবায়দুল্লাহ গাজী ও নীলকান্ত মণ্ডলের নিকট একই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা গাজী বিকাশ নম্বরে এ ধরনের প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এ বিষয়ে শুক্রবারে মুক্তিযোদ্ধা নুরমোহাম্মাদ গাজী, ওবায়দুল্লাহ গাজী ও নীলকান্ত মণ্ডল উক্ত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত আনুঃ ৯ টায় বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা গাজী ০১৮৭২-৮৪৮৩৯৮ একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে উল্লেখিত ৩ মুক্তিযোদ্ধাকে বলেন, এখানে ৩২ হাজার ৭০০ টাকা বিকাশ করলে ২ লক্ষ টাকার চেক পাওয়া যাবে। বিষয়টি নিশ্চিত করতে মুক্তিযোদ্ধা নুরমোহাম্মাদ গাজী তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মুঠোফোনে জানানোর পর শুক্রবার তারা লিখিত অভিযোগ করেছেন ঐ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এধরনের অভিযোগ পেয়েছেন স্বীকার করে বলেন, এ বিষয় তদন্ত করে প্রমান হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা জানান, মঙ্গলবার রাত আনুঃ ৮.৩০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরিচয়ে একটি ফোন কল আসে। তিনি বলেন আপনার এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের আমার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। সেই মোতাবেক কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেছি এবং ফোনের কথামত একটি বিকাশ নাম্বারও দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমি নম্বরটি যাচাই পূর্বক তাদের টাকা দিতে বলেছিলাম। তবে তাদের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এ ধরনের প্রতারণার বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।