আরাফাত হুসাইনের প্রতিবেদন –
কোরবানিকে পরিবেশ দূষণের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে কোরবানি ও কোরবানি পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করার দাবি জানিয়েছে শাহরিয়ার কবির। পাশাপাশি পার্ক-খেলার মাঠ ও রাস্তার পাশে কোরবানির হাট না বসানোরও জোর দাবি জানিয়েছে শাহরিয়ার কবির। গত শনিবার দুপুরে পবা কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব দাবি জানানো হয়।
আলোচকরা বলেন, প্রতিবছর সারা দেশে গরু, মহিষ, ভেড়া, খাসি ইত্যাদি প্রায় এক কোটি ২০ লাখ পশু ঈদে জবাই করা হয়। ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সর্বত্র ঈদের দিন বা পরের দিন যত্রতত্র বিপুলসংখ্যক কোরবানির পশু জবাই করা হয়। জবাইকৃত পশুর বর্জ্য-রক্ত, নাড়িভুড়ি, গোবর, হাড়, খুর, শিংসহ উচ্ছিষ্টের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও জনসচেতনার অভাবে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়সহ জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
বক্তারা আরও বলেন, কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থান থাকা ও জায়গাটি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া। কোরবানির পশুটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং পশুটি রোগমুক্ত ও কোরবানির উপযুক্ত কিনা সেটাও পরীক্ষা করা। এর ফলে দুর্গন্ধ ছড়ানো, রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটা, পশুর চামড়া বিনষ্ট হওয়া ইত্যদির ভয় থাকে না। বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা এবং এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।
আলোচকরা জানান, পরিবেশসম্মত কোরবানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নিয়ে সরকার কিছু স্থানকে কোরবানির জন্য নির্ধারিত করে দেয়। কিন্তু এরপরও বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনার কোন স্থায়ী উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায় না।
এ অবস্থায় বেশকিছু সুপারিশ করেছে পবা। সুপারিশগুলো হলো— কোরবানি পশু উৎপাদন প্রক্রিয়ার স্থান নিয়মিত পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি ডাক্তার দিয়ে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করা; বড় রাস্তার পাশে, পার্ক-খেলার মাঠে কিছুতেই কোরবানি পশুর হাট না বসানো; কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত নির্ধারিত স্থান রাখা; ডাক্তার, জবাইয়ের জন্য দক্ষ লোক, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কসাই, পর্যাপ্ত পানি ও যানবাহনসহ যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা; প্রতিটি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে জনসংখ্যা অনুপাতে পশু জবাইয়ের জন্য প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করা।
পবা চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন পবা’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, নাসফের সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব আলী, পবার সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, এম এ ওয়াহেদ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামন মজুমদার, সাউথ-ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক জোবাইদা গুলশান আরা, নাসফের প্রচার সম্পাদক ক্যামেলিয়া চৌধুরী, বিসিএইচআরডির পরিচালক মো. মমতাজুর রহমান মোহন, পবার সদস্য দিনা খাদিজা, মোসতারি বেগম, কানিজ ফাতেমা, মো. আকবর, মো. ইব্রাহিম প্রমুখ।
সামি/যুবকন্ঠ২৪/১৯
Leave a Reply