৩রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

কোরবানির কারণে ভয়ানক পরিবেশ দূষণ হয় – শাহরিয়ার কবির

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আরাফাত হুসাইনের প্রতিবেদন –

কোরবানিকে পরিবেশ দূষণের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে কোরবানি ও কোরবানি পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করার দাবি জানিয়েছে শাহরিয়ার কবির। পাশাপাশি পার্ক-খেলার মাঠ ও রাস্তার পাশে কোরবানির হাট না বসানোরও জোর দাবি জানিয়েছে শাহরিয়ার কবির। গত শনিবার দুপুরে পবা কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব দাবি জানানো হয়।

আলোচকরা বলেন, প্রতিবছর সারা দেশে গরু, মহিষ, ভেড়া, খাসি ইত্যাদি প্রায় এক কোটি ২০ লাখ পশু ঈদে জবাই করা হয়। ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সর্বত্র ঈদের দিন বা পরের দিন যত্রতত্র বিপুলসংখ্যক কোরবানির পশু জবাই করা হয়। জবাইকৃত পশুর বর্জ্য-রক্ত, নাড়িভুড়ি, গোবর, হাড়, খুর, শিংসহ উচ্ছিষ্টের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও জনসচেতনার অভাবে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়সহ জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

বক্তারা আরও বলেন, কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থান থাকা ও জায়গাটি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া। কোরবানির পশুটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং পশুটি রোগমুক্ত ও কোরবানির উপযুক্ত কিনা সেটাও পরীক্ষা করা। এর ফলে দুর্গন্ধ ছড়ানো, রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটা, পশুর চামড়া বিনষ্ট হওয়া ইত্যদির ভয় থাকে না। বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা এবং এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।

আলোচকরা জানান, পরিবেশসম্মত কোরবানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নিয়ে সরকার কিছু স্থানকে কোরবানির জন্য নির্ধারিত করে দেয়। কিন্তু এরপরও বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনার কোন স্থায়ী উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায় না।

এ অবস্থায় বেশকিছু সুপারিশ করেছে পবা। সুপারিশগুলো হলো— কোরবানি পশু উৎপাদন প্রক্রিয়ার স্থান নিয়মিত পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি ডাক্তার দিয়ে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করা; বড় রাস্তার পাশে, পার্ক-খেলার মাঠে কিছুতেই কোরবানি পশুর হাট না বসানো; কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত নির্ধারিত স্থান রাখা; ডাক্তার, জবাইয়ের জন্য দক্ষ লোক, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কসাই, পর্যাপ্ত পানি ও যানবাহনসহ যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা; প্রতিটি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে জনসংখ্যা অনুপাতে পশু জবাইয়ের জন্য প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করা।

পবা চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন পবা’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, নাসফের সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব আলী, পবার সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, এম এ ওয়াহেদ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামন মজুমদার, সাউথ-ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক জোবাইদা গুলশান আরা, নাসফের প্রচার সম্পাদক ক্যামেলিয়া চৌধুরী, বিসিএইচআরডির পরিচালক মো. মমতাজুর রহমান মোহন, পবার সদস্য দিনা খাদিজা, মোসতারি বেগম, কানিজ ফাতেমা, মো. আকবর, মো. ইব্রাহিম প্রমুখ।

সামি/যুবকন্ঠ২৪/১৯

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।