স্বপন মাহমুদ,সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী অনলাইন নিবন্ধনকারীরা কোভিড টিকার ২য় ডোজ দিতে এসে না পাওয়ায় হৈ চৈ উত্তেজনার ঘটনা ঘটে। গত রবিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ টিকাদানের (বুথ) লাইনে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বরাদ্দকৃত টিকা শেষ জানিয়ে আপাতত কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, সরিষাবাড়ী পৌরসভাসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের জন্য সর্বশেষ গত ১ সেপ্টেম্বর কোভিডের ২য় ডোজ ৮ হাজার ৮০০টি সিনোফার্ম কোম্পানির টিকা বরাদ্দ আসে। এরমধ্যে সরকার ঘোষিত গণটিকা কার্যক্রমের জন্য ৪ হাজার ৮০০ টিকা আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের জন্য রাখা হয়েছে। বাকী টিকাগুলোর মধ্যে চলমান কার্যক্রম হিসেবে (৫ সেপ্টম্বর) পর্যন্ত ১ হাজার ৫৬৭টি টিকা ছিল। রবিবার সকাল ৯টায় অনলাইন নিবন্ধনকারী যারা মোবাইলে এসএমএস পান তারা টিকা নিতে আসেন। এছাড়া যাদের মোবাইলে এসএমএস আসেনি, ১ম ডোজ নেওয়ার সময় তাদের হাতে লিখে তারিখ দেওয়া হয়েছিল; তারাও টিকার জন্য লাইনে দাঁড়ান। একপর্যায়ে টিকার বুথের ভেতর থেকে জানানো হয়, যারা এসএমএস পাননি তাদের টিকা দেওয়া হবে না, টিকার সংকট রয়েছে। এ নিয়ে সকাল ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপরতলায় পুরুষ লাইনে দাঁড়ানো লোকজন হৈ চৈ শুরু করে। এদিকে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে উঠলে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় বরাদ্দকৃত টিকা শেষ জানিয়ে আপাতত টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে টিকা নিতে আসা ভুক্তভোগী আব্দুল বারেক জানান, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কি.মি. দূর পিংনা এলাকা থেকে নির্ধারিত তারিখে টিকা নিতে এসেও টিকা পেলাম না। অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে চলে যেতে হচ্ছে। ভুক্তভোগী হাবিবুল্লাহ জানান, আমি ময়মনসিংহ শহরে চাকরি করি। ছুটি নিয়ে নির্ধারণ তারিখ থাকায় স্ত্রীসহ টিকা নিতে আসি। চাকরি বাদ দিয়ে কি সব সময় টিকা দিতে আসতে পারবো। আজ টিকা না দিতে পারায় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। একদিকে চাকরি অন্যদিকে সময়ের অপচয় এবং ভোগান্তি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ সাহেদুর রহমান শাহেদ জানান, ২য় ডোজের বরাদ্দকৃত টিকা কম থাকায় রবিবার শুধুমাত্র এসএমএসপ্রাপ্তদের টিকা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ইতোপূর্বে এসএমএস না পেলেও টিকা দেওয়া হতো বিধায় উপস্থিত লোকজন এ কথাটি না মেনে হৈ চৈ শুরু করে। এদিকে বরাদ্দকৃত টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে না আসা পর্যন্ত আপাতত টিকাদান দেওয়া সম্ভব না বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার পুলিশ উপপরিদর্শক আরিফুল ইসলাম জানান, টিকা সঙ্কট থাকায় লাইনে দাঁড়ানো লোকজন হৈ চৈ করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
Leave a Reply