১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

কুলাউড়ায় সওজের দেওয়া অধিকাংশ সাইনবোর্ডে ভুলের ছড়াছড়ি।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

 

মো: রেজাউল ইসলাম শাফি, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ

 

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-রবিরবাজার-টিলাগাঁও সড়ক ও জনপথ বিভাগ মৌলভীবাজারের আওতাধীন নবনির্মিত রাস্তায় বিভিন্ন এলাকার নাম ভুল করে সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে স্থানীয়দের। তারা ভুল সংশোধন করার দাবি জানিয়েছেন।

 

 

সওজের দেওয়া অধিকাংশ সাইনবোর্ডে কুলাউড়া উপজেলা নামের স্থলে লেখা হয়েছে ‘কুলাউরা’। এ ছাড়া কুলাউড়া-রবিরবাজার-রাজাপুর সড়কের পাশে রাউৎগাঁওয়ের স্থলে রাইতগাঁও, পুরশাইয়ের স্থলে কুসাই, মুদিপুরের স্থলে মদিপুর ও মুড়ইছড়া নাম সংবলিত সাইনবোর্ড দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ভুলের কারণে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে কাদা মাটি দিয়ে সেগুলো ঢেকে দিয়েছেন।

 

 

জানা গেছে, এ সড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে এলাকার দূরত্ব ও পরিচয় সংবলিত ২৫০টি সাইনবোর্ড প্রতিস্থাপনের কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের অধীনে শামীম এন্টারপ্রাইজ। কাজ শেষে বিভিন্ন পয়েন্টে এলাকার নাম সঠিক কি না সেটা যাচাই করেনি কর্তৃপক্ষ।

 

 

লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মযজ্ঞ। বিষয়টি স্থানীয় সচেতন নাগরিক ও উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ে সমন্বয় করে এলাকার সঠিক নাম যাচাই করা উচিত ছিল কর্তৃপক্ষের। এলাকার নাম ভুল করে সাইনবোর্ড টানানোয় জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এটি দ্রুত সমাধান করার দাবি জানাচ্ছি।

 

 

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ভাষাগত ও প্রিন্টিং সমস্যার কারণে এই ভুল হয়েছে। আমরা দ্রুত সেটা সংশোধন করে দিব।

 

সড়ক ও জনপথ বিভাগের (কুলাউড়া) কার্যালয়েল উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুভাষ পুরকায়স্থ বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কুলাউড়া সড়ক বিভাগে মোট ২৫০টি সাইনবোর্ড তৈরি করেছে। এরমধ্যে কয়েকটি এলাকার নামে ভুল হয়েছে। সংশোধনের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কয়েকদিন সময় নিয়েছে।

 

 

সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, কাজটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন করেছে। আমরা স্থানীয় এলাকার নামের বানান বিষয়ে তেমনটি পরিচিত নই। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল। দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

 

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি অনেকেই আমাকে জানিয়েছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। ভুল নামের বানানগুলো সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।