১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

কুলাউড়ায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের প্রস্তাবিত স্থান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কুলাউড়ায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের প্রস্তাবিত স্থান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

মো: রেজাউল ইসলাম শাফি, কুলাউড়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় সরকার ঘোষিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের ২য় ধাপ চলমান রয়েছে। ১ম পর্যায়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের ১২৫ টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালের জুন মাসে। গত ৪ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২য় ধাপে অনুমোদন পায় দেশের ১৮৬টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ষোলশত কোটি টাকা। ২য় ধাপে ১৮৬টি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের এই প্রকল্পতে অন্তর্ভুক্ত আছে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলা।

সরকার ঘোষিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গত ২২ আগস্ট কুলাউড়ায় প্রস্তাবিত স্থান ভূকশিমইল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড কানেহাত গ্রামস্থ টেকারবন মাঠ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল মোল্লা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু ও পৌরসভার মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদ সহ আরো প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। প্রস্তাবিত স্থান ভূকশিমইল পরিদর্শনের পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ঝড় তুলেছেন কুলাউড়া উপজেলার নাগরিকরা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে লিখেছেন, পৌরসভা রেখে হাওর অঞ্চলের দিকে স্টেডিয়ামটি করার যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। উপজেলার অনেক খেলোয়াড়দের মতে শহরের আশেপাশে স্টেডিয়ামটি করা হলে সবাই প্র্যাক্টিসের সুযোগ পাবে। স্টেডিয়ামটি শহরে হলে যাতায়াতের অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়াও শহর এলাকা উন্নত থাকায় বর্ষাকালেও মাঠের অবস্থা ততোটা নাজেহাল হবে না বলে অনেকে মনে করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয় নিয়ে দন্ধ চলছেই।

১৩ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার মানুষের দাবি তাদের ইউনিয়নে কেন স্টেডিয়ামটি হবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পৌরসভা ও ইউনিয়নের মানুষ স্ট্যাটাস মাধ্যমে মতামত তুলে ধরেছেন। কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এ.কে.এম সফি আহমদ সলমান সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে জানান,”কুলাউড়া উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য আমরা ইতোপূর্বে কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের রেজুলেশনের মাধ্যমে কাদিপুর ইউনিয়নের হ্যালিপ্যাড এর জায়গায় স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকারের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করি। এ ব্যাপারে এখনো কোন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বিকল্প হিসাবে লোহাইউনি চা বাগানের নিকটবর্তী সড়ক সংলগ্ন ৪ একর জমি প্রাথমিক ভাবে চিন্হিত করে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এ ব্যাপারে যাচাই-বাছাই চলছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ফেইসবুকে বিভিন্ন জনের পোষ্ট দেখে মনে হচ্ছে কুলাউড়া উপজেলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটির সিদ্ধান্ত উপজেলা পরিষদ ব্যতিত কোন ব্যক্তি বিশেষের দ্বারা গৃহিত হবে। আদৌ এ ধরণের চিন্তা বা সিদ্ধান্ত বা মনগড়া ফেইসবুক পোষ্ট থেকে বিরত থাকতে সংশিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। বাস্তবে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি সকল মহলের সুবিধা যেখানে হবে সেখানেই নির্মাণ করা হবে।

কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে জানান, “এখনও কোন সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়নি। দয়া করে কোন বিতর্ক সৃষ্টি করবেন না। চেষ্টা করা হচ্ছে শহরের আশপাশে স্টেডিয়াম নির্মাণ করার। তবে বাস্তবতা হচ্ছে শহরের পাশে মিনি স্টেডিয়াম করার মতো কোন জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ কোন উত্তম জায়গার খবর পেলে আমাদেরকে জানাবেন। আসুন সবাই মিলে চেষ্টা করি।”

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।