নিজস্ব প্রতিনিধি,সরদার বাদশা।
এ যেন এক নতুন দিগন্ত, যেদিকে চোখ যায় শুধু ঐ অপরূপ দৃশ্য দেখতে মন চায় কি সুন্দর অপরূপ দৃশ্য, চোখ ফেরানো যায় না, হ্যাঁ আমি বলছি খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার কুলবাড়িয়া বিলের কৃষকদের কথা,সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তারা দিনরাত পরিশ্রম করে মৎস্য চাষের পাশাপাশি মৎস্য ঘেরের আলের উপর মাসান করে চাষাবাদ করেছে গৃষ্মকালীন ফসল তরমুজের, অফ-সিজনে হলুদ সবুজ তরমুজ সহ সাথী ফসল হিসেবে সিম,মিষ্টি কুমড়া, বল্টু ঝাল,সহ বিভিন্ন ধরনের ফসল, কৃষক জহিরুল সরদার জানান ৩০ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরের আইলে তরমুজ চাষ করেছেন। তার ক্ষেতে ১৩শ টি তরমুজ গাছ আছে। প্রত্যেকটি গাছে বড় বড় ফল ধরেছে। ফলন ভালো এবং বাজারে চড়া দাম থাকায় অনেক টাকা লাভ হবে তার। কুলবাড়ীয়ার কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন গৃষ্মকালীন মৌসুমে তরমুজ চাষ করে বাজারে যে দাম পাওয়া যায়, অফ-সিজনে তার থেকে ৩/৪ গুন দাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এক হেক্টর জমিতে তরমুজ ফলাতে খরচ হয়েছে ৯০থেকে ১লাখ টাকা পর্যন্ত, এখন তারা বিক্রি করছে এক হেক্টর জমির তরমুজ ৫থেকে ৬লাখ টাকায়। আসাদুজ্জামান জানান এখন কুলবাড়িয়া কৃষকদের কষ্টে অর্জিত ফসল বিক্রি করতে চুকনগর, আঠারো মাইল, খুলনা,কাঁচামালের আড়তে যাওয়া লাগে না। বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর ঢাকা, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, মাগুরা, থেকে ছুটে আসে তরকারি ব্যাপারীরা কুলবাড়িয়া তিন রাস্তার মোড়, এক জায়গা থেকে সব ধরনের ফসল হলুদ, সবুজ রঙ্গের তরমুজ, সিম,বল্টু ঝাল, পটলসহ বিভিন্ন তরকারি সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে অল্প দামে ক্রয়করার জন্য। অল্প দামে ক্রয় করে ব্যাপারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেশি দামে বিক্রি করতে পারে, এতে ফসল ক্রেতা ব্যাপারীরা খুশি আবার কৃষকরা বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে তারাও খুশি,
কুলবাড়ীয়ার কৃষক হান্নান শেখ, ও সাত্তার মোড়ল, জানান পাকিজা, এশিয়ান-২, সোনিয়া, তৃপ্তি, কানিয়া, লাইল্যান্ড-২, রেড ড্রাগনসহ বিভিন্ন বিদেশী জাতের এই তরমুজের ভিতরে লাল ও হলুদ রঙের। এই তরমুজ যেমন সুস্বাদু ও গুণাগুণ সম্পন্ন, তেমনি উচ্চফলনশীল। বাজারে অসময়ে এটি পাওয়ার কারণে দাম অনেকটা বেশি। তাই অফ-সিজন তরমুজ চাষে দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। বিশেষ করে রঙিন তরমুজ চাষে তাদের আগ্রহ বেশী। তাদের সঠিক পরিচর্যার ফলে চোখ ধাঁধানো ফলনও হয়েছে কুলবাড়িয়া মৎস্য ঘরে আইলে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন জানান, কুলবাড়িয়া, পাচপোতা, বয়ারসিং, মাদারতলা, বারুইকাটি, মাগুরখালী, শেখের টেক, খর্ণিয়া ডুমুরিয়ায় সহ এবার ২৬০ হেক্টর জমির ঘেরের পাড়ে অফ-সিজন তরমুজ চাষ হয়েছে। থাইল্যান্ড ও জার্মানি থেকে আমদানীকৃত উচ্চফলনশীল জাতের তরমুজ চাষ করে হেক্টর প্রতি ৫৫-৬০ টন পর্যন্ত ফলন হয়েছে। সাধারণত মৌসুমে তরমুজ চাষ করে বাজারে যে দাম পাওয়া যায় অফ-সিজনে তার ৩/৪ গুন দাম পাওয়া যায়। এক হেক্টর জমিতে তরমুজ ফলাতে ৯০ থেকে ১লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়, আর তা বাজারে বিক্রি হয় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকায়। ফলে অফ-সিজন তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। আবাদ যাতে বৃদ্ধি পায় সেজন্য নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগ কৃষকদেরকে নানা ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছেন তিনি।
Leave a Reply