রোকনুজ্জামান রাসেল, কাজিপুর প্রতিনিধি ঃ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কাজিপুরের চরাঞ্চলের নাটুয়াপাড়া রক্ষা বাঁধে ধসসহ নানা স্থানে ভাঙন এবং কয়েকটি সেতুর দু পাশের মাটি ধসে সেতু ভেঙে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। নাটুয়াপাড়া রক্ষা বাঁধের ধস ঠেকাতে ও সেতুর ধস ঠেকাতে স্থানীয় জনগণ, উপজেলা পরিষদ, জনপ্রতিনিধি আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এরই মধ্যে চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া রক্ষা বাঁধে গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে ধস শুরু হয়েছে। ভাঙন শুরু হয়েছে খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নের সানবান্দা এলাকায়। চরগিরিশ ইউনিয়নের চর ডগলাসে, পীরের চর সেতুও মনসুরনগর ইউনিয়নের দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার দুটি সেতুর দু’পাশে ধস দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নাটুয়ারপাড়া রক্ষাবাঁধে ধস দেখা দেয়ায় আতঙ্কে রয়েছে হাজারো মানুষ । সিরাজগঞ্জ-১ কাজিপুরে সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় এর দিক নির্দেশনা ও সহযোগিতায় খলিলুর রহমান সিরাজীর উদ্যোগে মনসুর নগর ইউনিয়নের মাজনাবাড়ি আব্দুর রাজ্জাক মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন সেতুর ধস ও ভাংগন রোধে ২০০০ ব্যাগ বালুর বস্তা, মাজনাবাড়ি স্কুলের দক্ষিণের সেতুর ধস ঠেকাতে প্রায় ১০০০ বস্তা, শালদহ পুরান বাজার রাস্তায় কালভার্টে ধস ঠেকাতে ৫০০ বস্তা, চরগিরিশ ইউনিয়নের ডগলাস মোড়ে সেতুর ও রঘুনাথপুর চর সেতুর ধস ঠেকাতে প্রায় ১২০০ বস্তা ফেলা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে নাটুয়ার পাড়া রক্ষা বাঁধে ধস ঠেকাতে কাজিপুরে সাংসদ জয়ের সহযোগিতায় ১২০০০ জিও ব্যাগ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় ২/ ৯/ ২১ পর্যন্ত ৪০০০ জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এ দিকে প্রতিটি কাজের শ্রমিক খরচ সহ আনুষঙ্গিক খরচ করে যাচ্ছেন কাজিপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান। প্রতিটি ইউনিয়নের সেতুর ধস ও নাটুয়াপাড়া রক্ষা বাঁধের ধস ঠেকাতে স্থানীয় আঃলীগের নেতাকর্মী, জনপ্রতি বিশেষ করে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় জনগন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২/ ৯/২১ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সরজমিন গিয়ে এ চিত্র চোখে পড়ে। মাজনাবাড়ি গ্রামে ধসে পড়া সেতুর সন্নিকটে বসবাসকারী মৃত কোরবান শেখের পুত্র রাসেল শেখ বলেন, জয় সাহেব ও খলিল সাহেব উদ্যোগ না নিলে সেতুটি ভেঙে যেত। আর সেতু ভেঙে গেলে আমার সহ আরও কয়েকটি বাড়ি ভেসে যেত। এদিকে ঘটনা ঘটার পর থেকেই খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার,
বুধবার ও বৃহস্পতিবার কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী ভাঙন এবং ধসে যাওয়া স্থানগুলো ঘুরে দেখেন ও নানা পরামর্শ দেন। নাটুয়াপাড়া রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন কালে তিনি জানান, বাঁধটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ কেননা বাঁধ হওয়ার ফলে বাঁধের উজানে ও ভাটিতে প্রায় দুইশ হেক্টর নদী ভাংগন কবলিত জমি আবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে,শুধু তাই নয় বাঁধ হওয়ার ফলে নাটুয়াপাড়া অবস্থিত বসত ভিটাসহ পুলিশ ফাঁড়ি, স্কুল, কলেজ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঐতিহ্যবাহী নাটুয়াপাড়া হাটটি রক্ষা পেয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, বাঁধটি শুকনো মৌসুমে স্থায়ীভাবে সংস্কার করা হোক।
Leave a Reply