১লা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

করোনায় পাহাড়ের পর্যটন-হোটেল ব্যবসায় ধস

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আবদুল জলিল, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।

করোনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পার্বত্য এলাকার পর্যটন শিল্প। গত দুই দশকে গড়ে উঠা পাহাড়ের পর্যটন খাত বর্তমানে সবচেয়ে বেশী কঠিন সময় পার করছে। পর্যটক না আসায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটন-হোটেল ব্যবসায়ীরা।

প্রতিবছর ঈদ মৌসুমে খাগড়াছড়ির আলুটিলা, রিছাং ঝর্না, জেলা পরিষদ পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র হাজারো পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত থাকলেও করোনা সংক্রমণের কারণে এবারের ঈদে পর্যটকশূন্য খাগড়াছড়ি। পর্যটকশূন্য হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এই খাতের আর্থিক ক্ষতি। লাখ লাখ টাকা বিনোয়োগের পরও আয় শূন্য হোটেল রির্সোট ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা।

গত বছর পাঁচ মাসেরও বেশী সময় ধরে পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকার পরে পর্যটক স্পটগুলো খুলে দেয়া হলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে চলতি বছরের ১৪ মার্চ থেকে পর্যটকদের ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। এরপর থেকে পর্যটকশুন্য হয়ে পড়ে পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ফলে দিন দিন এ খাতের ক্ষতি বাড়তে থাকে।

গত চার মাসেরও বেশী সময় ধরে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের ক্ষতি দাঁড়িয়েছে শত কোটি টাকা। পুঁজি হারিয়ে অনেকেই প্রায় নিঃস্ব। এই অবস্থা চলমান থাকলে বিপাকে পড়বে পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, করোনার ধাক্কায় তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেঁকেছে।

খাগড়াছড়িতে পর্যটক না আসায় হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বেকার হয়ে পড়েছে শত শত পরিবহন শ্রমিক। পর্যটক না থাকায় বন্ধ রয়েছে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে পর্যটকবাহী যান চলাচল। মাহেন্দ্র পিকআপ চালক প্রদীপ ত্রিপুরা জানান, পর্যটক না আসায় আমাদের বাড়তি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে এ খাত সংশ্লিষ্ট পরিবহন শ্রমিকরা।

খাগড়াছড়ির পর্যটন উদ্যোক্তা মো. ফয়সাল আহমেদ বলেন, করোনাকালে হোটেল-মোটেল ব্যবসায় আয় না থাকলেও কর্মরত কর্মচারীদের বেতন দিতে হচ্ছে। পর্যটক না থাকলেও রিসোর্টগুলোতে রক্ষনাবেক্ষন ব্যয় কমেনি। ফলে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে।

সাম্পারি রির্সোটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাপলা ত্রিপুরা বলেন, গত বছর করোনার প্রাদুর্ভাবে ৫ মাস বন্ধ ছিল পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এ ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আগেই আবারো করোনার থাবায় বন্ধ হয়ে যায় পর্যটন কেন্দ্র। গত প্রায় চার মাস ধরে বন্ধ রয়েছে খাগড়াছড়ি ও সাজেকের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। করোনায় বিপর্জস্থ পর্যটন খাতের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা নিয়েও শঙ্কিত ব্যবসায়ীরা।

খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইউনিট ব্যবস্থাপক একেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, খাগড়াছড়ি ও সাজেকে হোটেল-মোটেলের সংখ্যা প্রায় দেড় শতাধিক। করোনায় সবচেয়ে বেশী বিপর্যস্থ খাত পর্যটন। এসব হোটেল-মোটেল বন্ধ থাকলেও রক্ষনাবেক্ষণ করতে গিয়ে অনেক ব্যয় হচ্ছে। গত চার মাসে খাগড়াছড়ি ও সাজেকে পর্যটন ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে অন্তত শত কোটি টাকা।

পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সরকারি প্রনোদনা চেয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, সরকারী প্রনোদনা না পেলে মুখ থুবড়ে পড়বে পর্যটন খাত। তাদের মতে, করোনা শেষে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও পর্যটন খাতে মানুষের আস্থা ফেরাতে সময় লাগবে। ফলে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়বে লাভজনক পর্যটন খাত।

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।