নূরজাহান আজাদ ডেইজি
(১)
দিনের শুরু “নাভান সোনাকে” নিয়ে
অন লাইনের ক্লাসের মধ্যে দিয়ে।
দস্যি যেমন, দুরন্ত তেমন লক্ষ্মী হয়ে বসেনা
স্হির হয়ে স্ক্রিনের দিকে মন দিয়ে দেখে না।
জড়িয়ে ধরে, থাকি আমি বসে তার পাশে
তাই দেখে মিসরা সব মিটি-মিটি হাসে।
সকল আবিষ্কারের যতো কথা
এই সময়েই মনে পরে যে-তা।
ইঞ্জিনিয়ার হবে সে যে তার দাদুর মতো
সারা দিনের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ শত শত।
সকালের “কাব্য ” নাভান সোনা তাই
দাদুর খুব আদরের দাদু-সোনা ভাই।
(২)
পরের অধ্যায় “ইজান সোনামণি”
ব্রাশ করা, খাওয়ানো তা এক্ষুনি।
খেতে কি চায়? অনেক সাধনায়
অনেকটা সময় ধরে অবশেষে খায়।
একটু পরে মালটা, ডালিমের রস
ড্রপার দিয়ে খাওয়াই বসে -বসে।
একটা বাজলে সময় হলো এবার
গোসলটা ভালো ভাবে সারার।
আবার শুরু হলো খাওয়ার পালা
খাওয়া আর খাওয়ানোর খুব জ্বালা।
কষ্টে সৃষ্টে খাওয়া হলে শেষ
মনের মধ্যে ওঠে কবিতার রেশ।
রাত ৯টায় আবার খাওয়া হলে
তারপরেতে আমার ছুটি মেলে।
ফাঁকে -ফাঁকে নিতে হচ্ছে খোঁজ
নাভান সোনা দুধ খেলো কিনা?
মালটা আর ডালিমের রস,
যা খায় দুপুর বারোটায় রোজ।
(৩)
সকাল বেলা গলা সাধা “নভেরা সোনা
সারে,গা,মা,পা,ধা,নি-সা,গান গা-না।
চুলটা বেঁধে দেই পরিপাটি সুন্দর করে
চেয়ে দেখি মুগ্ধ চোখে অন্তর যায় ভরে।
” নভেরা সোনা”আমার গানের পাখি
তাইতো তাঁরে চোখে চোখে রাখি।
(৪)
আমার “তানহা সোনা” ময়না মণি
দুরে থেকে ও আছে হ্নদয় জুড়ে,
সে যে আমার প্রান ভোমরা সোনা
প্রথম নাতনি হয়ে আমায় করেছ ঋণী।
খুউব ব্যাস্ত থাকে সে লেখা পড়া নিয়ে
ভালো গান গায় হারমোনিয়াম দিয়ে।
“তানহামণি” আমার সুন্দর অনবদ্য
ছন্দে ভরা মধুর ভাষার অনন্য “পদ্য”।
আনন্দে আর ব্যাস্ততায় কাটে দিন
এই চার রত্নই জীবন করেছে রঙিন।
Leave a Reply