২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

আমতলীতে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হওয়া পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

 

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।

“আশ্রয়নের অধিকার, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উপহার” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগন গ্রামে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিণীর হাতে শহীদ হওয়া বীরমুক্তিযোদ্ধা নগ্রেন্দ্র নাথ ধুপির অসহায় পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে একটি আশ্রয়নের ঘর উপহার দেয়া হয়েছে।

 

আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে গিয়ে মাটি কেঁটে ওই ঘরের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আবদুল্লাহ বিন রশিদ। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল ইসলাম, কুকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ মাসুম তালুকদার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মফিজুল ইসলাম, চাওড়া ইউপি আ’লীগ সভাপতি আহুরুজ্জামান আলমাছ খান, ইউপি সদস্য মোসাঃ তাসলিমা বেগম, শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা নগ্রেন্দ্র নাথ ধুপির ভাই সুধীর চন্দ্র ধুপি, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক হায়াতুজ্জামান মিরাজ, সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি দেওয়ান মোস্তফা কবির প্রমুখ।

 

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিরার পক্ষ থেকে এই ঘরটি শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা নগ্রেন্দ্র নাথ ধুপির অসহায় পরিবারকে উপহার দেওয়া হয়। শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র রাধেশ্যামের নামে আমতলী উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ২ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট রান্নাঘর কাম টয়লেটের একটি সেমি পাকা ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

 

পুত্র রাধেশ্যাম চন্দ্র ধুপি বলেন, আমার বাবা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের অসহায় পরিবারের কথা চিন্তা করে এই ঘরটি উপহার দিয়েছেন। তিনি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে বলেন, ভগবান যেন আমাদের মত অসহায় পরিবারের জন্য শেখ হাসিনা দীর্ঘায়ূ কামনা করেন।

 

উল্লেখ্য মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বরগুনা জেলার ফুলঝুড়ি মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে পাক হানাদার বাহিনীর আকর্ষিক আক্রমনে আমতলী উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত্যু গোপাল চন্দ্র ধুপির পুত্র বীরমুক্তিযোদ্ধা নগ্রেন্দ্র নাথ ধুপি শহীদ হন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।