১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

আনোয়ারা উপকূলে জমে উঠেছে রূপালী ইলিশের মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আনোয়ারা উপকূলে জমে উঠেছে রূপালী ইলিশের মেলা

শেখ আবদুল্লাহ
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :

বেশ কিছুদিন বাজারে দেখা যায়নি তেমন একটা ইলিশের আনা-গোনা কিন্তু হঠাৎ করেই বাজারগুলোতে জমে উঠেছে রূপালী ইলিশের বাজার।
ইলিশের ভরা মৌসুম হওয়ায় এমন অবস্থা বলে মনে করছেন সবাই।দীর্ঘ ৬৫দিন সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকার পর সাগরে নেমে আশানরূপ ইলিশ মিলেনি আনোয়ারার ১০হাজার জেলেদের জালে। ভরা মৌসুমে ৬শত ট্রলার নিয়ে সাগরে নেমেছিল উপকূলীয় এলাকার জেলেরা। তবে ইলিশ না মিলায় হতাশমনে দ্বিতীয় পূর্ণিমার আশায় ছিল এসব জেলেরা। তবে এবার আর হতাশ হতে হয়নি। ভাদ্র মাসের পূর্ণিমার শুরু থেকে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়তে শুরু করেছে ইলিশ।
জো-এর দিনক্ষণ মিলিয়ে আনোয়ারা উপকূলে জমে উঠেছে এখন রূপালী ইলিশের মেলা।
দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তেমন বড় আকারে ইলিশ জালে ধরা পড়ছেনা বললেই চলে । তবুও ছোট ও মাঝারি আকারের ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেদের চোখে-মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটে ওঠেছে।

গত মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকালে উপজেলার গহিরা উপকূলীয় এলাকার উঠান মাঝির ঘাট, দোভাষী ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত দুই দিনে সাগর থেকে ইলিশ বোঝাই করে ঘাটে ফিরেছে অর্ধশতাধিক ট্রলার। ফিরে আসা ইলিশ ভর্তি এসব ট্রলার গহিরা উপকূলের বিভিন্ন ঘাটে সারিবদ্ধভাবে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। ইলিশ সংরক্ষণে মাঝিমাল্লাদের মাঝে ছিলো সংরক্ষণে তোরজোড় ।
মৌসুমের শুরুতে ইলিশের দেখা না পেলেও এখন কাঙ্খিত ইলিশ ধরা পড়ায় হাসি ফুটেছে জেলে, আড়তদার ও মৎস্যজীবীদের মুখে।
ঘাটকূল এলাকায় দেখা যায়, কেউ ইলিশ মাছের ঝুড়ি টানছেন, কেউ প্যাকেট করছেন, আবার কেউ কেউ সেই প্যাকেট বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে তুলে দিচ্ছেন ট্রাকে।
ট্রলার থেকে মাছ নামতেই জেলেরা ডাক বসাচ্ছেন মাছের দামের ।
এদিকে উপজেলার মাছের সব চেয়ে বড় আড়ৎ কালাবিবির দিঘির মোড়ে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে, ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ৬০০ গ্রাম সাইজের প্রতি হালি ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে ১৫০০ টাকায়। প্রতি তিন পিসে কেজি এমন ইলিশ প্রতিকেজি সাড়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে, ছোট জাটকা প্রতিকেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
দৌভাষী ঘাট মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ীরা বলেন, এক সপ্তাহ আগে যে ইলিশ ২ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, এখন সেগুলোর হালি ২৫০০ হাজারের হাকাচ্ছে । তার মতে, বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে । সরবরাহ বাড়লে ইলিশের দাম কমে আসবে।
উঠান মাঝি ঘাটের বাজারের ইলিশ বিক্রেতা আরমান জানান, ইলিশের মৌসুম হলেও অন্য বছরের তুলনায় এ সময় ইলিশ ধরা পড়ছে কম। এ কারণে বাজারে ইলিশের দাম উঠা নামা করলেও অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি।
উপজেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রী কৃষ্ণ দাশের বলেন, মূলত সাগরে মিষ্টি পানি নামার সাথে সাথে গভীর সমূদ্র থেকে বড় মাছগুলো কাছে চলে আসে আর তখনি জেলেরে জালে আটকা পড়ে যায়, আর এবছর বৃষ্টি হওয়ার পরও জেলেদের জালে প্রথম দিকে মাছের দেখা মেলেনি । আজ থেকে জো-এর দিনক্ষণ মিলিয়ে উপকূলে জমে উঠতে শুরু করেছে ইলিশের আমেজ। আশা করি আগামী পূর্ণিমাতে জেলেদের জালে আরো ভালো মাছ পরবে।
উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রাশিদুল হক বলেন, আসলে আমরা সরেজমিনে বিষয়টি গিয়ে দেখেছি, জেলেদের জালে তেমন আশানুরূপ মাছ ধরা পড়েনি প্রথম দিকে । ভাদ্র মাসের শুরু থেকে মাছ ধরা পড়েছে । আর যেসব মাছ পরতেছে তা সাইজে অনেক ছোট। জো-এর দিনক্ষণ মিলিয়ে সামনে আরো পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।