২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

আনোয়ারায় লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া চলছে প্রায় শতাধিক ফার্মেসি।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শেখ আবদুল্লাহ

আনোয়ারা(চট্রগ্রাম) প্রতিনিধি

 

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নে লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়াই অবাধে চলছে প্রায় শতাধিক ফার্মেসী। ১১টি ইউনিয়নে নিবন্ধন ছাড়া কয়টি ফার্মেসী আছে তার সঠিক হিসাবও দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

 

অভিযোগ উঠেছে এসব ফার্মেসিগুলো করোনা মহামারিকে কেন্দ্র করে নকল, মানহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধগুলো বিক্রয় করেছে চড়া দামে এবং তারা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ছাড়পত্র ছাড়াই ক্রেতা চাহিবা মাত্র অথবা রোগীর রোগের বর্ণনা শুনে অনুমান করে দিয়ে দেয় এন্টিবায়োটিক, ঘুমের, যৌন উত্তেজক ওষুধ। এতে করে জনস্বাস্থ্য চরম হুমকিতে পড়ছে। উপজেলায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়াগুলোর আশে পাশের ও নিম্ন আয়ের মানুষের চিকিৎসাসেবার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে লাইসেন্সবিহীন এসব ফার্মেসিগুলো। কোনো ধরণের কেমিস্ট বা ফার্মাসিস্ট না থাকলেও সবধরনের রোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো অপারেশন ও করানো হচ্ছে এসব ফার্মেসিতে।

 

নামপ্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ফার্মেসির মালিকরা জানান, ড্রাগ লাইসেন্স পাওয়াটা বর্তমানে অনেক কঠিন হয়ে গেছে তাই লাইসেন্স ছাড়াই ওষুধ বিক্রয় করছি কোন সময় তো কোনো ধরণের সমস্যা হয়নি এখনও। যদি বেশি সমস্যা হয় তাহলে ঘুষ দিয়ে হলেও লাইসেন্স বানিয়ে নিতে হবে বলে জানান। ১৯৪৬ সালের ড্রাগস রুলস অনুযায়ী এসমস্ত ফার্মেসিতে ওষুধ মজুদ, প্রদর্শন ও বিক্রয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আর এভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ওষুধ প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী।

 

 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা আবু জাহিদ মুহাম্মদ সাইফউদ্দীন জানান, ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে যেসব ফার্মেসির লাইসেন্স হালনাগাদ নেই তাদের রিনিউ করার সময় দেওয়া হবে। আর যাদের লাইসেন্স নেই কিন্তু দোকানের মান ভালো তাদের লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে। যাদের অবস্থা একেবারেই খারাপ সেসব ফার্মেসী বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা এ বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি।

 

আনোয়ারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হাসান চৌধূরী জানান, উপজেলার আশেপাশে ফার্মেসিগুলোতে নিম্নমানের, মেয়াদোত্তীর্ণ, ওষুধ রাখার অভিযোগে তিনবারে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১৩টি দোকানদারকে জরিমানা করা হয়। শিগগিরই উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ফার্মেসিগুলোতে ওষুধ প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।