শেখ আবদুল্লাহ আনোয়ারা(চট্রগ্রাম) প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতাধীন ঘোষণা করা হলেও লোডশেডিংয়ে সাধারণ গ্রাহকের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। এক দশকে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির অঙ্ক বলছে কোথাও এক মিনিটও লোডশেডিং হওয়া উচিত নয়। আনোয়ারা উপজেলায় লোডশেডিং এখন প্রায় যেন নিত্যদিনের ঘটনা। প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। গত কিছুদিন যাবত লোডশেডিং এবং তীব্র দাবাদহ মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। শহর আর গ্রামের বৈষম্যের পাশাপাশি ইচ্ছাকৃত বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখার অভিযোগ রয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে। তবে পরিস্থিতি যাই হোক এত এত বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যেও লোডশেডিং নিয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কেউ মুখ খুলতে চান না।
চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন আনোয়ারা উপজেলায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক মিলে প্রায় ৭৫ হাজার সংযোগ আছে। যার জন্য প্রতিদিন পিক ও অফ পিক আওয়ার মিলে ১৬.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে।
ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে হাসপাতাল ও ঘরে অসুস্থ রোগী বয়স্ক,শিশু,ও প্রসূতি মায়ের কষ্ট হয়।কম্পিউটার, ফ্রিজ, পানির পাম্প, ফটোকপি মেশিনসহ বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রপাতি বিকল হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। চলতি ইলিশের ভরা মৌসুমে বরফ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এলাকার কল-কারখানাগুলোতে।কখনো কখনো বিদ্যুৎ চলে গেলে কয়েক ঘণ্টা পর আসে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা- যাওয়া ও করে।
লোডশেডিংয়ে বিষয় সাধারণ গ্রাহকদের, এক গাঁদা অভিযোগ এ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুৎতের আওতাধীন ঘোষণা করা হয়। কয়েক বছর হলেও সেবার মান বাড়েনি এখনো ।আনোয়ারা শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা হলেও এই মুহূর্তে প্রধান সমস্যা লোডশেডিং। প্রায় প্রতিদিন ৩৩ কেভি লাইনের সমস্যা, গাছের ডালপালা কাটা থেকে শুরু করে ঘোষণা দিয়ে বিদ্যুৎ বন্ধের পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ। সাধারণ গ্রাহকরা এ জন্য উৎপাদনের তুলনায় বেশি সংযোগ ও কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন।
চাতুরী চৌমুহনী বাজারের এক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মনছুর তিনি বলেন, লোডশেডিং হতেই থাকে। আমরা মাঝে মাঝে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিলে তারা নানা রকম অজুহাত দিতে থাকে। অনেক সময় সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ গিয়ে সারারাত আসলোই না। কারও কোনও মাথা ব্যথা নেই। আমাদের মতো সাধারণ মানুষই শুধু ভোগান্তির শিকার হয়।
পল্লীবিদ্যুৎ আনোয়ারা জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মোঃ আবুল মুমিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিদ্যুৎতের কোনো ঘাটতি নেই। ঝড়-বৃষ্টির কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। বিভিন্ন সময় লাইনে কাজ করতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। তাছাড়া ৩৩ কেভি লাইনের সমস্যা হলে লোডশেডিংয়ে হয়।
Leave a Reply