শেখ আবদুল্লাহ
আনোয়ারা(চট্রগ্রাম )প্রতিনিধি।
চলতি আমন মৌসুমের এ সময়ে আমন ধান পরিচর্যা করছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। বোরো কর্তন শেষেআমন চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন তারা। বর্তমানে ধান গাছের পরিচর্যায় যেন দম ফেলার সময়নেই তাদের।
কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষের ফসল উৎপাদন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটে।
গত বোরো মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ায় অনেক কৃষকের পাকা ধান শিবনদে তলিয়ে গেছে। তবেসমতল ভূমির ধান পাওয়া গেলেও খড় পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ধানের দাম ভালো।
এতে লোকসান কাটিয়ে কোনোরকমে উৎপাদন খরচ জুটছে কৃষকের কপালে। এমনটি বলছিলেনচাতরী গ্রামের কৃষক আবুল খায়ের ও রশিদ ।
বোরো কর্তন শেষে আমন চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন কৃষক ও শ্রমিকরা। বাড়ির আশপাশেবিস্তীর্ণ আমন ফসলের মাঠ, সবুজে সমারোহ। কেউ ধান গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন। আবারকেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন।
বৈরাগ গ্রামের কৃষক নূর মোহাম্মাদ বলেন,
ধান গাছের চেহারায় তিনি মুগ্ধ। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কৃষি অফিসের পরামর্শেকীটনাশক প্রয়োগ ও আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত রয়েছেন আর সব কৃষকের মতো তিনিও।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৭ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে আমনচাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রমজান আলী বলেছেন, পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কৃষিকর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে পোকা দমনে কাজ করে যাচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমনেরলক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে কৃষক গোলায় উঠাবেন সোনার ফসল এমন প্রত্যাশায় আশাবাদি তিনি।
Leave a Reply