শেখ আবদুল্লাহ
আনোয়ারা(চট্রগ্রাম ) প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ইছামতি খালের শাখা দক্ষিণ বাকখাইন নোয়ারাস্তা কান্দুরিয়া খালের উপর আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্লুইস গেইট বছর না যেতেই জোয়ারের পানির স্রোতে প্রায় ১০০ ফুট বেড়িবাঁধসহ খালে বিলীন হয়ে গেছে। এতে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে । ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েক গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দাদের। স্লুইস গেইটি বিলীন হওয়ার ফলে উপজেলার চাতরী, পরৈকোড়া, বারখাইন, আনোয়ারা সদরসহ চারটি ইউনিয়নের হাজার হাজার একর জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৭ সালে এ স্লুইস গেইট নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হওয়ার বছর না যেতেই আস্তে আস্তে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে গত আগস্টে পুরোই বিলীন হয়ে গেছে। কয়েক মাস ধরে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। যাতায়াতে আমাদের প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। গর্ভবর্তী মহিলা, ডায়রিয়া এবং গুরুতর অসুস্থ রোগীকে নিয়ে বেশ কষ্ট আছি। বর্তমানে আমাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌকা। দিনে কোন মতে পার হলেও রাত ১০ টার পর নৌকা চলাচল করে না। রাতে কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে চেষ্টা করেও হাসপাতালে নিতে পারছিনা। আবার দিনের বেলা খালের মধ্যে ভাঁটা হলে হাঁটু পরিমাণ কাঁদাতে নেমে কয়েকজন মিলে ধরাধরি করে অসুস্থ রোগীকে নৌকায় তুলে পারাপার করতে হচ্ছে।
তারা আরও জানান, এলাকাবাসীর উদ্দ্যোগে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকো দিলেও প্রবল স্রোতের বেগে ১০ দিনও ঠিকে নি। স্রোতের সঙ্গে ভেঙ্গে গেছে সাঁকো। যাতায়াতের ভোগান্তির কারণে অর্ধেক মানুষ এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় ভাড়া বাসায় চলে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন,
এটি আমাদের প্লেনিংয়ে আছে। এটার জন্য একটা কমিটি হয়েছে। স্লুইস গেইটটিতে টেকনিক্যালি কি ফল্ট হয়েছে সেটা দেখার জন্য ঢাকা থেকে প্রকৌশলীরা আসবে । জোয়ারের পানির লেভেল কমলে ডিসেম্বরের দিকে প্রকৌশলীরা এসে নিচের দিকে মাটি পরীক্ষা করে দেখবে ভিতরে কি হয়েছে। সব ফাইলসহ সবকিছু ঠিক আছে কিনা চেক করা হবে। নতুন ডিজাইনিং করে স্রুইস গেইটি পুনরায় নির্মাণ করা হবে।
Leave a Reply