শেখ আবদুল্লাহআনোয়ারা(চট্রগ্রাম ) প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা মহামারি করোনাকে উপেক্ষা করে আমন রোপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অঞ্চলের চাষিরা। যেনো দম ফেলার সময় নেই এলাকার চাষি ও কৃষিশ্রমিকদের মাঝে। করোনা নিয়ে কোনো ধরনের ভ্রুক্ষেপ নেই কৃষিশ্রমিকদের। চাষিরা চায় যেভাবেই হোক রোপা আমন জমিতে আবাদ করতে হবে। তাই করোনা নিয়ে মাথায় তেমন কোন চিন্তাভাবনা নেই তাদের।
শনিবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কখনো বৃষ্টি, কখনো রোদ এসব মাথায় নিয়ে কৃষকরা মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে। একদিকে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমিতে প্রস্তুত করছে। আর সেই জমিতে মইদিয়ে উচুনিচু সমান করে আমন ধান রোপন করছেন কৃষিশ্রমিকরা। দেখে মনে হচ্ছে উৎসাবের এক আমেজ বাইছে তাদের মধ্যে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনায় শ্রমিক সংকট ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে আউশ রোপণ না করা কৃষকরা আমন রোপণ করছে। চলতি মৌসুমে ৭ হাজার ২৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি অফিস। এরই মধ্যে প্রায় এলাকায় ৭০ ভাগ রোপা আমনের চারা রোপন শেষ হয়েছে।এবার আগাম জাতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি অফিস চলতি মৌসুমে দেশীয় জাতের পরিবর্তে কৃষি অধিদপ্তর থেকে উচ্চ ফলনশীল বিনা-১১, ১৬, ১৭, ২০, ২২, ২৩, বি.আর-২২, ২৩, রিধান৭৫, ব্রিধান ৪৯, ব্রিধান ৮৮, ব্রিধান ৩২, ব্রিধান ৮৭, ব্রিধান ৫১, ব্রিধান ২৩, ব্রিধান ৩৯, ব্রিধান ৩০, ব্রিধান ৫২, ব্রিধান ৪৪, ব্রিধান ৩৪, সহ হাইব্রিড ধানী গোল্ড ও কেয়া জাতের ধানের বীজ এনে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
চাতরী গ্রামের কৃষক আব্দুল রশিদ বলেন, আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক পরিবেশ ভালো থাকলে রোপা আমনে ফসল ভাল হয়। করোনা আর কারণে শ্রমিক সংকট ও কৃষি উপকরণের দাম বেশি। তাই লাভের আশা নিয়ে শঙ্কায় আছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেছেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী যাতে দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণ হয় সে লক্ষ্যে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ৭০ ভাগ জমিতে চারা রোপন শেষ হয়েছে। এক দুই সপ্তাহের মধ্যে আমান জমিতে চারা রোপন শেষ হবে বলে জানান তিনি। মাঠ কর্তকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরার্মশ ও সহযোগিতা প্রদান করছেন।
Leave a Reply