১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

আনোয়ারাই শীতের সবজি বাজার ভরা,তবে দাম বেশি।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শেখ আবদুল্লাহ

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

 

চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে গিয়ে কথা হয় সবজি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে তারা জানান বাজারে প্রচুর পরিমানে শীতের সবজি আসলেও দাম তেমন কমেনি,তবে কিছু দিনের মধ্যে দাম কমে যাবে আমরা আশাবাদী৷

 

চাতরী চৌমুহনী বাজারে শবজি বিক্রেতা আলিমের সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন, প্রতি কেজি সিম ৮০ টাকা,করলা ৬০ টাকা,পটল ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা,শসা ৪০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, পেঁপে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০টাকা,পালন শাক ৪০ টাকা, গাজর ১০০টাকা কেজি।

 

এছাড়া, প্রতি কেজি ফুলকপি ৬৭ টাকা, প্রতি কেজি বাঁধাকপি ৪০ টাকা, লেবু ৩৫ টাকা হালি, কাঁচা কলা ৩০ টাকা হালি, মাঝারি সাইজের কুমড়া ৪৫-৫০, মাঝারি সাইজের লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

 

একই বাজারের এরফান বলেন, আমাদের আনোয়ারা চাতরী চৌমুহনী বাজারে এখনো নতুন আলু সরবরাহ হয় নাই, আমরা পুরাতন আলু ২০ টাকা, বড় হলেন আলু ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা,ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি রসুন ৫০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১২০থেকে ১২৫ টাকা, আঁদা ১২০ থেকে ১৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 

ওই বাজারের মাংস বিক্রেতা আবুল মনছুর বলেন, মাংসের দাম বাড়ায় বিক্রি কমে গেছে, গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, খাসির মাংস সকালে বিক্রি হয়েছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, টাকা বিক্রি হচ্ছে। একই বাজারের বেলাল বলেন, ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩২০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, কেজি বিক্রি দরে হচ্ছে। এদিকে, হাঁসের ডিমের হালি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, দেশি মুরগি ৪৫ টাকা, ফার্মের মুরগির ডিম ৩২ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

মাছ বিক্রেতা কায়সার বলেন রুই ২৫০ টাকা, বড় সিলভার ১৫০ টাকা, গ্রাস কার্প ১৪০ টাকা, শিং ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, কৈ ২২০ টাকা, বড় শৈল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১১০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

 

ওই বাজারের ফোরকান স্টোরের বিক্রেতা ফোরকান বলেন, খোলা সয়াবিন তেল ১৫৫ টাকা, চিনি ৭৫ টাকা, খোলা আটা ৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৯ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। জব্বার বলেন, দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ৪০ টাকা, অ্যাংকর ৪৫ টাকা, খেসারি ৭০ টাকা, মুগডাল ১৪০ টাকা, মাসকলাই ৮৫ টাকা, ভাঙা মাসকলাই ১২০ থেকে১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।

 

বাজার করতে আসা হানিফ বলেন, সব কিছুর দাম বেশী আমরা যারা নিম্ন আয়ের মানুষ আমাদের সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়।কারন জিনিসের দাম বাড়তেছে আমাদের মজুরিত বাড়তেছে না৷

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।