শেখ আবদুল্লাহ
আনোয়ারা(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম আনোয়ারা বৈরাগ আমানউল্লাহ পাড়া রাস্তার মাথা আল রহমান বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে নানা বেকারি পণ্য। এসব বেকারির তৈরি নিন্মমানের বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য কিনে একদিকে প্রতারিত হচ্ছে গ্রাহক অপরদিকে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বেকারি মালিক। আল রহমান বেকারির এসব অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে সংবাদ করতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন বেকারি থেকে অবৈধ মাসিক মাসোয়ারা নেওয়া ব্যক্তিরা ভয়ভীতি দেখায়। সরেজমিন ঘুরে দেখাযায়, আমানউল্লাহ পাড়া রাস্তার মাথার উত্তর পাশে ঘর ভাড়া নিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গড়ে উঠেছে আল রহমান বেকারি। তাদের নেই কোন ট্রেড লাইসেন্স ও বিএসটিআই’র অনুমোদন। অস্বাস্থ্যকর, নোংরা ও সেঁতসেঁতে পরিবেশে নিন্মমানের বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট, জন্মদিনের কেক, লাড্ডু , বাটারবন, চানাচুরসহ শিশু খাদ্য ও বেকারি পণ্য তৈরি হচ্ছে। আর অল্প বেতনে শিশু শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। বেকারি শ্রমিকরা খালি গায়ে একহাতে সিগারেট অন্য ময়লা হাত দিয়ে কাজ করছে এমনকি পায়ে মাড়িয়ে কাজ করতে ও দেখা গেছে। খোলাভাবে তেলভর্তি ড্রামে মাছি ও তেলেপোকা দেখা যাচ্ছে। এ পরিবেশের তৈরি খাদ্য খেয়ে আশেপাশের লোকজন ডায়রিয়াসহ নানাভাবে অসুস্থ হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এই বেকারির উৎপাদনকৃত নিন্মমানের পণ্য গায়ে উৎপাদনের এবং মেয়াদশেষের কোন ধরণের তারিখ লিখা থাকে না। স্থানীয় বৈরাগ গ্রামের মুহাম্মদ আরাফাত হোসেন জানান, আমার ভাইয়ের ছেলেকে এই বেকারি একটি বন খাওয়ানোর পর এস্ট্রং ডায়রিয়া হয়ে এক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হয়েছে এবং তার প্রমাণসহ আমি সংরক্ষণ করে রেখেছি। এই নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের বেকারির বিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হাসান চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, এই খানে একটি বেকারি আছে এতদিন তাহা আমার জানা ছিল না,শীঘ্রই এব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
Leave a Reply