এস.এম.আরফান আলী:
গত ২২ ই অক্টোবর (শুক্রবার) শেরপুর ৩৬০ ডিগ্রি গ্রুপে রাকিব নামের একজনের পোষ্টে তিনি লিখেন একজন অসহায় পাগলের হাতে ঘা হয়ে পোকা ধরেছে তিনি খুবই কষ্টে আছেন। ঐ পোষ্ট দেখে রক্তসৈনিক বাংলাদেশ, গোশাইপুর ইউনিয়ন শাখা’র ম্যানেজম্যান সমন্বয়ক তন্ময় রক্তসৈনিক শ্রীবরদী’র সম্মানিত সভাপতি সাজিদ হাসান শান্তকে মেনশন করে পরে শান্ত বিষয়টা নিয়ে রক্তসৈনিক বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল আমিন রাজু এর সঙ্গে পরামর্শ করে। সে মতে তিনি তন্ময়কে দিকনির্দেশনা দিয়ে রক্তসৈনিক শ্রীবরদী’র সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বিদ্যুৎ কে সঙ্গে নিয়ে লোকটিকে খোঁজতে বলেন এবং আল আমিন রাজু এর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। ২৩ অক্টোবর ২০২১ (শনিবার) সকালে তারা (তন্ময় ও কামরুল হাসান বিদ্যুৎ) (অসুস্থ পাগল) কে শেরপুর সদর হাসপাতালে খোঁজে পান। খোঁজে পাওয়ার পরপরই আল আমিন রাজু এর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি অবগত করলে এবং তখন সেই পাগল খাবার খেতে চাইলে প্রথমে তাকে হোটেল থেকে খাবার এনে হাসপাতালের এক স্টাফ এর মাধ্যমে তার খাবার ব্যবস্থা করে। এদিকে বিষয়টি রক্তসৈনিক বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল আমিন রাজু অসুস্থ থাকায় যেতে না পেরে তাদের রক্তসৈনিক পরিবারের এডমিন গ্রুপে বিষয়টি অবগত করেন। তখন তন্ময় রাজুকে জানান রোগীটির জন্য একটি বালতি ও লুঙ্গির প্রয়োজন সেই সাথে তার মাথার চুল গুলো কেটে দেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি তার সু-চিকিৎসার প্রয়োজন। তখন রক্তসৈনিক পরিবারের পক্ষ হইতে আল আমিন রাজু শেরপুর জেলার মান্যবর জেলা প্রশাসক মোঃ মোমিনুর রশীদ ও শেরপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুর রউফ মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাহারা জানান দ্রুত তার (পাগলের) চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হবে । এদিকে এ খবর শোনে রক্তসৈনিক শেরপুর এর সদস্য শাকিল মাহমুদ ও জিনিয়া হাসপাতালে ছুটে যান । অন্যদিকে রক্তসৈনিক শেরপুর এর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ আল আমিন একটি লুঙ্গি ও মশা মারার স্প্রে এর ব্যবস্থা করেন। আল আমিন রাজু মাধ্যমে জুনাইদ ষ্টোর হতে একটি বালটি ও চুল কাটার জন্য সিজার ব্যবস্থা করে দেন। এবং রক্তসৈনিক শেরপুর এর দুযোর্গ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম এর মাধ্যমে মশারী ও চুল কাটার জন্য হ্যান্ড গ্লাবস ও স্যানিটাইজার এবং একটি রুম স্প্রে এর ব্যবস্থা করেন । নিজ হাতে পাগলের চুল কেটে দেন তন্ময় ও শাকির মাহমুদ পরে রক্তসৈনিক সহযোদ্ধারা মিলে গোসর করিয়ে দেন। রক্তসৈনিক শ্রীবরদী এর সভাপতি সাজিদ হাসান শান্ত বলেন, গোশাইপুর ইউনিয়ন শাখা’র ম্যানেজম্যান সমন্বয়ক তন্ময় ও বিদ্যুৎ এর অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধমে (পাগল) রোগীটিকে আমরা খোঁজে পেতে সক্ষম হয়েছি বিধায় তার সেবা করার সুযোগ হয়েছে তাই তিনিও তন্ময় সহ সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অন্যদিকে রক্তসৈনিক বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল আমিন রাজু বলেন, স্যালুট রক্তসৈনিক সহযোদ্ধাদের তোমাদের এই মহতি কর্ম সত্যি প্রশংসার দাবিদার। তোমরা আবারও প্রমাণ করলে মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্যে। জয় হোক মানবতা, জয় হোক রক্তসৈনিক সহযোদ্ধার। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে অসুস্থ পাগল লোকটির সেবা ও চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু বিষয়টি শেরপুর জেলার মান্যবর জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন শেরপুর মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে এবং তাহারা তার সু-চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন। অতএব দ্রুত উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা সহায় হলে তিনি সুস্থ হয়ে তার সাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।
Leave a Reply